চুয়াডাঙ্গায় নির্মাণাধীন বাড়ির রাস্তা দখলের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের নির্মাণাধীন বাড়ির রাস্তা দখলের অভিযোগ তুলে একযোগে ১৫টি পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অভিযোগকারীরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, অভিযুক্ত দখলকারী ফরিদপুরের মধুখালী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তিনি অন্যায়ভাবে রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে পর্যায়ক্রমে পৌর পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই প্রতিকার মিলছে না। অভিযুক্ত ওসির পরিবার নানাভাবে হয়রানি করছে। অভিযোগকারীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য জিয়াউল কবির।
লিখিত বক্তব্যে জিয়াউল কবির বলেন, জেলা শহরের সিনেমা হলপাড়ার কাঠপট্টি মহল্লায় ১৩ শতক জমির মালিক ছিলেন মাসুদুর রহমান। গত ২ বছর আগে তার কাছ থেকে ওই ১৩ শতক জমি কিনি আমরা মহল্লার ১৫ জন। জমির দাম বেশি হওয়ায় আমরা ১৫ জন যৌথভাবে জমিটি কিনি। পরে আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী সালেহা বেগমের কাছ থেকে ৬.২৭ শতক জমি কেনেন ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা খাতুন। পরে আমরা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে রাস্তা ব্যবহারে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন ওসি আমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী আফরোজা খাতুন ও একই মহল্লার সাহিদা খাতুন। রাস্তাটি সবার হলেও ওসি আমিনুল ইসলাম নিজের দাবি করে পাকা পিলারের সাথে লোহার গেট নির্মাণ করেন। তিনি আমাদের সীমানায় ইটের পাকা পাঁচিল নির্মাণ করলে বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ব্যবস্থা নিতে পৌর মেয়রকে পত্র প্রেরণ করেন। গত ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর এবং ৯ ডিসেম্বর গেট ও পাঁচিল অপসারণ করার নোটিশ জারি করেন পৌর মেয়র। নোটিশ অবমাননা করলে একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর পৌর প্রকৌশল দফতরের কর্মকর্তারা এসে গেট ও পাঁচিল অপসারণ করেন। কিন্তু আমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী আফরোজা খাতুন ও সাহিদা খাতুন পুনরায় জোরপূর্বক মজবুত করে গেট নির্মাণ করেন। তারা আমাদের সীমানায় আবারও পাঁচিল নির্মাণ করতে থাকেন। পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওই গেট ও পাঁচিল ভেঙে দেয় মহল্লাবাসী। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কয়েক দফায় আলোচনা হলেও কোনো লাভ হয়নি। সমাধান না হওয়ায় ওসি আমিনুল ইসলাম পুলিশ দিয়ে হয়রানি শুরু করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের মধুখালী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জমির সীমানার দক্ষিণে তাদের ১০ ফিট রাস্তার জায়গা আছে। তারা সেদিকে না গিয়ে আমার ব্যক্তিমালিকানা জমি দিয়ে রাস্তা চায়। এ নিয়ে তারা জেলা প্রশাসন ও পৌরসভাকে বিভ্রান্ত করছে। আমি তাদের কোনোরকম হুমকি ধামকি দিইনি এবং হয়রানি করছি না বরং তারাই আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। তা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আমি অভিযোগও করেছি। আমি আমার নিজের জমিতে গেট নির্মাণ করছি। প্রতিপক্ষের লোকজন জমি তাদের বলে দাবি করলেও তাদের কোনো কাগজপত্র নেই। বরং আমার সমস্ত দালিলপত্র রয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More