চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব প্রতিদিনই কামড়ের শিকার হচ্ছে শিশু কিশোর

স্টাফ রিপোর্টার: কুকুর মারা উচ্চ আদালতের বারণ। প্রজনন হ্রাসের উদ্যোগ নেই। চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুর। কামড়েরও শিকার হচ্ছে শিশু কিশোর থেকে প্রায় সব বয়সের অসংখ্য মানুষ। গতকাল বুধবারেই চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি এলাকার ৭জন কুকুরের কামড়ের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভ্যাকসিনের জন্য আসেন।

এক সময় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের কুকুর মারা কর্মসূচি পরিলক্ষিত হতো। পরিবেশ প্রেমির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেওয়ারিশ কুকুর নৃশংসভাবে হত্যার বদলে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রজনন হ্রাসের নির্দেশনা রয়েছে। না, এ কাজ তেমন একটা করা হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গাতে তো নেই-ই আশে পাশেও তেমন কিছু হয় না। ফলে বেওয়ারিশ কুকুর শহর শহরতলী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কুকুর ক্ষেপে কামড়ানোর জন্য পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে ছুটে বেড়াচ্ছে। লালা ঝরিয়েও পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ ক’জন অভিন্ন ভাষায় এসব তথ্য দিয়ে বলেছে, কুকুরে কামড়ালে যে ভ্যাকসিন নিতে হয় তাও পাওয়া সহজ কথা নয়।

কুকুরের কামড়ের শিকার হয়ে যারা গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসে তাদের মধ্যে রয়েছে কোর্টপাড়ার মেহেদী হাসান (১৫), বেলগাছির লাকি আক্তার (১১), আলমডাঙ্গার হাফিজুল আলী (৯৫), সরিষাডাঙ্গার খসরু মিয়া (২৩), জীবননগর যাদুপুরের সাব্বির (৮), আলমডাঙ্গার মরিয়ম খাতুন (১৩) ও টেংরামারির সোহানা খাতুন (১২)। সাব্বিরের অভিভাবকেরা বলেছেন, সকালে বাড়ির পাশে খেলা করছিলো শিশু সাব্বির। কোথা থেকে ক্ষেপা কুকুর ছুটে এসে পায়ে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। হাসপাতালে নিয়ে ক্ষতস্থানে ৩টি সেলাই দিতে হয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, কুকুরে কামড়ের শিকার হয়ে প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য শিশু কিশোর থেকে প্রায় সব বয়সেরই নারী-পুরুষ আসছে। চিকিৎসা দেয়াও হচ্ছে। তবে সবসময় ভ্যাকসিন থাকে না। ফলে জটিলতা বাড়ে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More