চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে সংক্রমণ : একদিনে ৫১ জনের করোনা শনাক্ত

সক্রিয় রোগীর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন : মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩০৬ জনে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আবার বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গতকাল শনিবার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৩০৬ জনে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে কারোর মৃত্যু হয়নি। জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০৯ জনে রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ১৮৯ জন এবং জেলার বাইরে ২০ জন। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নতুন ৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৩০৬ জনে। এ দিন কেউ সুস্থতার সনদ পায়নি। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর মধ্যে হাসপাতালে রয়েছেন ১৩ জন। নতুন যে ৫১ জন শনাক্ত হয়েছেন তার মধ্যে সদর উপজেলার ৩০ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ৭ জন এবং জীবননগরে ১৪ জন রয়েছে।
করোনা মহামারির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তার রোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে নির্দেশনার পরও চুয়াডাঙ্গায় রাস্তাঘাটে, দোকান-পাটে, হাসপাতালগুলোতে অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মাস্ক ছিলো থুঁতনিতে। ফুটপাতের চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছিলেন কেউ কেউ। অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিলো না বললেই চলে। এতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা বাড়লেও অনেকের সংক্রমণের ভয় নেই। তাদের বাধ্য করতে হবে। চায়ের দোকানগুলোতে অযথা আড্ডা বন্ধ করতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চললে কমে আসবে শনাক্তের হার। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডগুলো, জরুরী বিভাগ, বহির্বিভাগে গা ঠেসাঠেসির মধ্যেই একে একে যাচ্ছেন কাক্সিক্ষত ডাক্তারের কক্ষে। এদের বেশির ভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া বহির্বিভাগের কার্যক্রমে চিকিৎসকরা কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই দেখছেন রোগী। আবার কাঁচাবাজারেও একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার, বেলবাজার, কেদারগঞ্জের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ, মুদি, ফল বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকানদারই মাস্ক ছাড়া পণ্য বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। মানছেন না নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব। ক্রেতাদের কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বিক্রেতাদের বেশিরভাগের মুখে মাস্ক নেই। অনেকে মাস্ক পরলেও তা নির্দিষ্ট স্থানে থেকে নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু নেই বললেই চলে। বর্তমানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৩ রোগী ভর্তি আছে। চলতি মাসে কতোজন করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এটা আমার জানা নেই।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More