চুয়াডাঙ্গা শহরের পৃথক দুটি স্থানে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা : বেড়েছে উত্তেজনা

দুদিন দুজনকে কুপিয়ে জখম : পুলিশে পাল্টাপাল্টি নালিশ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে হামলা পাল্টা হামলায় উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। গত পরশু শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে রেলগেটের অদূরে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে জখমের পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল সড়কে আরও এক যুবকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র পেশ করা হয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেছেন, দুপক্ষের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কানাপুকুরপাড়ার ইদ্রিস আলীর ছেলে স্কুলছাত্র সাগর হোসেন (১৪) গত পরশু শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে রেলগেটের নিকট হামলার শিকার হয়। তাকে কয়েকজন কুপিয়ে জখম করে। মাজা ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় সাগর হোসেন নিজেকে স্কুলছাত্র বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে এতিমখানাপাড়ায় বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিণ্টন খেলছিলাম। হাতে ছিলো মোবাইলফোন। বাইসাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় রেলগেটের নিকট পৌঁছুলে শান্তিপাড়ার আকাশসহ কয়েকজন আমার গতিরোধ করে। মোবাইলফোনটি ছিনিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করলে ওরা আমাকে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে এসেছি। এ ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় শহরে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের ফার্নিচারের দোকানের অদূরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রামিম ও সাকিবের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক হামলা চালায়। সাকিব দ্রুত সরতে পারলেও রামিমকে ধারালো অস্ত্রের উপর্যপুরি কোপে আহত করা হয়। রামিম পাশের ড্রেনে পড়ে যায়। তার কাছে থাকা মোটরসাইকেলটিও কুপিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত রামিম (২১) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শান্তিপাড়ার সানোয়ার হোসেনের ছেলে। রামিম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে অভিযোগ তুলে বলেছে, মসজিদপাড়ার সাকিব, সৌরভসহ ১০-১২ জন এসে হামলা চালিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মসজিদপাড়ার সাকিব গতপরশু শুক্রবার রাতে হামলার শিকার হওয়া সাগরের চাচাতো ভাই।
পুলিশ বলেছে, পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্র বলেছে, ক্ষমতাসীনদলের দুটি অঙ্গ সংগঠনের দুটি গ্রুপের কর্র্মী সমর্থকদের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More