জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া পূর্ব শক্রতার জের : হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার দেহাটি-আন্দুলবাড়িয়া নিকারীপাড়ায় নির্মানাধীন সরকারি রাস্তার সীমানা মাপজোক নিয়ে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিবেশী প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা মাসহ একই পরিবারের ৩ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে দেহাটির আতাউলের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে জীবননগর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে মৃত আবু বকরের স্ত্রী তিতু খাতুন (৬৫), মৃত আবু বকরের ছেলে নূর মোহাম্মদ ছোল্লু (৪৫), নূর হক ছেলে শিক্ষার্থী অসাদ (১৬)।
অভিযোগে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার দেহাটিÑআন্দুলবাড়ীয়া নিকারীপাড়ার সরকারি রাস্তার উন্নয়ন কাজ চলছে। নির্মাণাধীন রাস্তাটির সীমানা নিয়ে কথা বলে স্কুলপড়–য়া শিক্ষার্থী আসাদ (১৬)। পূর্ব শক্রতার জের ধরে ওই শিক্ষার্থীর কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবিশী দেহাটি নিকারীপাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আতিয়ার রহমান, ভাই আতাউর ইসলাম আরেক ভাই ফয়জাল, আতাউল ইসলামের ছেলে হাজবি ও ফয়জালের ছেলে শিলন প্রতিবেশী আসাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের উভয়ের মধ্যে কথা কাটা কাটি শুর হলে প্রতিবেশী প্রতিপক্ষরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র লাঠি ও দা নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালায়। দায়ের এলো পাতাড়ী কোঁপে শিক্ষার্থী আসাদের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে ছেলেকে বাঁচাতে বাবা নূর হক ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও পিটিয়ে জবাই করতে উদ্দ্যত হয় প্রতিপক্ষরা। ছেলে ও নাতীকে বাঁচাতে ছুটে আসে বৃদ্ধা তিতু খাতুন। তার ওপরও হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। পরে স্থানীরা ছুটে এসে আহত বৃদ্ধা ছেলে ও নাতীকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী আসাদের তার শরীলে বিভিন্ন অংশে দায়ের কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় নূর হক বাদী হয়ে গতকালই ৪ জনকে আসামী করে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More