দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে অক্সিজেনের অভাবে ভুমিষ্টের ১২ ঘন্টার মাথায় নবজাতকের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার : নানা অভি‌যো‌গে দর্শনার আলোচিত মর্ডান ক্লিনিক। এবার এ ক্লি‌নিক কর্তৃপ‌ক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। অপুষ্ট শিশু ভুমিষ্ট করিয়ে ঠিকমত অক্সিজেন না দেয়ায় নবজাত‌কের মৃত্যু হয়েছে বলে করা হ‌য়ে‌ছে অভিযোগ।
জানা গে‌ছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের বিপ্লবের স্ত্রী চন্দনা ওরফে ছন্দার ৮ মাসের মাথায় প্রসব বেদনা উঠলে ৩০ মে রাত ৮ টার দিকে দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে চি‌কিৎসার জন্য নেয়া হয়। ছন্দার স্বামী বিল্পব অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিকের মালিক ডাক্তার তারিকুল ইসলাম তাতখনিক ২ হাজার টাকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে বলেন, বাচ্চা ভালো আছে নরমালি ডেলেভারী করাতে হবে। ডাক্তারের কথামত চিকিৎসা নিয়ে রাত ১০টার দিকে নরমাল ডেলেভারীতে কন্যা শিশুর জন্ম হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অক্সিজেন দিয়ে বাচ্চাকে বাঁচিয়ে রাখে। পরের দিন সকাল ৯টার দিকে দিকে বাচ্চার অবস্থার অবনতি দেখা দি‌লে তাকে চুয়াডাঙ্গতে নেয়ার পরামর্শ দেয়। তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে অক্সিজেন খুলে বাচ্চাকে বিপ্লবের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গাতে নিয়ে জনৈক শিশুরোগ বিশেজ্ঞ ডাক্তার দেখে মন্ত্যব করে বলেন, কি করে একজন বিবেকবান ডাক্তার অক্সিজেন ছাড়া এ বাচ্চাকে ক্লিনিক থেকে অন্যত্রে নেয়ার পরামর্শ দিতে পারে। আপনারা দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির কিছুখনের মাথায় অর্থাৎ ১০টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়। বিল্পব আরও অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিক থেকে আমরা যখন দামুড়হুদাতে পৌছিয়েছি তখন শুনতে পাচ্ছি আমার স্ত্রীকে ক্লিনিক থেকে রীলিজ করে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেছে ক্লি‌নি‌কের বিত‌র্কিত ম্যা‌নেজার। দায়িত্বরত নার্সরাও ছন্দাকে তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে রীলিজ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তড়িঘড়ি করে সদ্যভুমিষ্ট হওয়া বাচ্চাকে অক্সিজেন ছাড়া অন্যত্র নেয়ার পরামর্শ, বাচ্চার মাকে রীলিজ করে দেয়া হলেও চুক্তির ১০ হাজার টাকার একটিও টাকা কম নেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এদিকে দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকের বিরুদ্ধে প্রায় সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও বরাবরই যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিরব থেকে যায় বলে সচেতন মহল অভিমত প্রকাশ করেছন। এব্যাপারে ক্লিনিক মালিক ডাক্তার তারিকুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে তিনি তার ম্যানেজার আব্দুল বারির মাধ্যমে বার্তা পা‌ঠি‌য়ে জানান এ ব্যাপা‌রে কোন মন্তব্য না করার।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More