প্রায় চার কোটি টাকা মূল্যের ৪৬টি সোনার বারসহ পাচারকারী আটক

দামুড়হুদার সুলতানপুর সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের ৪৬টি সোনার বারসহ আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল রোববার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি। আরিফুল ওই গ্রামের নাস্তিপুর গ্রামের মনজুর আলী বিশ্বাসের ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বার পাচার হবে। খবর পেয়ে সুলতানপুর বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার দুলাল হক ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর থেকে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর গ্রামের বেলে মাঠের পেয়ারা বাগানে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পরে একজন ব্যক্তি ওই এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন টহল দল তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে কোনো চোরাচালানি পণ্য নেই বলে জানান। পরে বিজিবি টহল দল তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে পেঁচানো সাদা কাপড়ের তৈরি বেল্টের ভেতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো ছোট বড় ৪৬টি সোনার বার এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করেন। জব্দকৃত স্বর্ণের বারের ওজন ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম। এসব সোনার বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, সোনার বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. দুলাল হক বাদী হয়ে থানায় মামলাসহ আটক যুবককে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করেছেন। এছাড়া উদ্ধার সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More