শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ ইউপি নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার: কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটারদের দৃষ্টিনন্দন উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে ভোটার কিংবা প্রার্থীদের কারো কোনো অভিযোগ ছিলো না।
আইনি জটিলতায় দীর্ঘ ১১ বছর অনুষ্ঠিত হয়নি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পিরষদ নির্বাচন। অবশেষে সকল জটিলতা কাটিয়ে ৩০ ডিসেম্বর তফশিল ঘোষণা হয় তিতুদহ ইউপি নির্বাচনের। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ১০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হয় ভোটগ্রহণ। গণনা শেষে বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শুকুর আলী নৌকা প্রতীকে ৫ হাজার ৫শ ৫৭ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্রপ্রাথী মিজানুর রহমান টিপু আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পান ৪ হাজার ৩৭৯। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬ এবং ইসলামী আন্দলন বাংলাদেশের আব্দুর রাজ্জাক হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১৭ ভোট। নৌকার প্রার্থী শুকুর আলী ১ হাজার ১৭৮ ভোট বেশি পয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৬ হাজার ৭৪ জন। যার মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ছিলো ১৩ হাজার ২৩৯ এবং বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩৩২টি। প্রথমদিকে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থাকলেও নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে সে ভীতি কেটে যায়। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য ৩ জন ভ্রাম্যমাণ নির্বাহী ম্যাজিট্রেট, ১ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, ২৫৪ জন পুলিশ, ১৭০ জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সরেজমিনে সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন। যার কারণে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী শুকুর আলী বলেন, এ বিজয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, জননেত্রী শেখ হাসিনার, জেলা আ.লীগের সর্বপরি আমার প্রাণপ্রিয় তিতুদহ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের। প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় থাকবেই। ইউনিয়নকে সাজাতে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানায় ভোটের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সকলকে। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতা ছিলো বলেই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ নির্বাচন। ভোটাররা ভোট দিয়ে যেমন হয়েছে আনন্দিত তেমনই বিজয়ী প্রার্থীরাও মনের দিক থেকে পেয়েছেন তৃপ্তি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More