শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের ৫২ দিন পর মারা গেলেন জামাই

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জামাইকে শ্বশুর বাড়ি ডেকে নিয়ে গিয়ে বৈদুতিক খুঁটির সাথে বেঁেধ মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার ৫২ দিন পর অবশেষে জামাই মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার উত্তর বাজদিয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নুরু নবী ওরফে মিঠুন (২৫) একই পাড়ার আশরাফুল ইসলাম আশার মেয়ে তানিয়া খাতুন (২৪) সাথে প্রেমজ সর্ম্পক গড়ে তুলে প্রায় ৫ বছর পূর্বে বিয়ে করেন। তাদের ৩ বছর বয়সী একটি শিশু কন্যা রয়েছে। গত ২৩ আগস্ট শ্বশুর আশরাফুল ইসলাম তার জামাই নুরনবী ওরফে মিঠুনকে বাড়িতে আসার দাওয়াত দেন। এ দাওয়াত পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জামাই নুরুনবী মিষ্টি নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে অবস্থানরত স্ত্রী তানিয়া খাতুনের সাথে মনোমালিন্য ঘটায় ক্ষুদ্ধ স্ত্রীর স্বজনেরা মৃত কলিমদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন (৪০), মৃত আক্কাচ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫), শাহা আলমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৮), মৃত আনছার আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪০) ও তার সহোদর আরিফ হোসেন (৩৫) সংঘবদ্ধভাবে রাত ৯টার দিকে জামাই নুর নবীকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অন্ডকোষসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনেরা মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করেন। সেখানে ভর্তি করার পর ক্রমান্নয়ে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। নুরুনবীকে নির্যাতন করায় নিহতের চাচা সুলতান হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলায় বর্তমানে আসামিরা আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। সূত্র জানান, আজ শনিবার ময়না তদন্ত শেষে নুরুনবীর লাশ হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করবেন। আন্দুলবাড়িয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জহরুল ইসলাম আহত নুরুনবীর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা মাথাভাঙ্গাকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই জমির হোসেন বলেন, মামলা তদন্তধীন অবস্থায় নুরুনবীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ কেস। হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ আগামীকাল ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করবেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More