সঠিক সংবাদ সমাজের কল্যাণকর হলেও বানোয়াট খবর ক্ষতিকর

গুজব প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার: গুজব প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, সকল প্রকার সংবাদ পরিবেশনের আগে তার সত্যতা তথা বস্তুনিষ্ঠুতা যাচাই করা গণমাধ্যমে কর্মরতদের কর্তব্যেরই অংশ। কারো কাছে কিছু শুনে সংশ্লিষ্ট দফতর বা বিভাগের কমর্কতার সাথে কথা না বলে তা সম্প্রচার করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয়। একটি বস্তুনিষ্ঠ সঠিক সংবাদ যেমন সমাজের জন্য কল্যাণকর হতে পারে, তেমনই বানোয়াট বা বিভ্রান্তকর কোনো তথ্য প্রচার সমাজের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিজিবি-৬ এর অধিনায়কের প্রতিনিধি উপ-অধিনায়ক মেজর মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র চুয়াডাঙ্গা উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার হাবিবুর রহমান। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচিসহ সাংবাদিকদের মধ্যে মতামত উপস্থাপন করে প্রবীণ সাংবাদিক অ্যাড. মানিক আকবর, শাহ আলম সনি, এমএ মামুন, রিফাত রহমান, জহির রায়হান সোহাগ, জান্নাতুল আওলিয়া নিশি, হুসাইন মালিক, মেহেরাব্বি সানভি, জিসান আহম্মেদ, অনিক চক্রবর্তীসহ উপস্থিত প্রায় সকলে। সাংবাদিকদের উপস্থাপিত অভিমতের মধ্যে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক বৈদ্যুতিন গণমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে গুজব ছড়ায় বলে উল্লেখ করে বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বৈধ অবৈধ অনুমোদিত, অনুমোদিত গণমাধ্যমগুলোর কোনটিকেই আমরা গুজব রটনার শঙ্কা থেকে বাদ রাখছি না। গুজব ছড়ানো থেকে দূরে থাকতে হবে। গুজব ছড়ালে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু চুয়াডাঙ্গায় অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে বেশ কিছু ভুল তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এ নিয়ে আমাদের শুধু বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যেই পড়তে হয়নি, অস্থিতিশীলতারও আবাহ সৃষ্টিরও ঝুকি ছিলো। সীমান্তে কিছুই হয়নি, অথচ বলা হলো ঘটনা ঘটেছে। জীবননগরে একজনও মারা যায়নি অথচ ফেসবুকে প্রচার হলো ৭ জন নিহত হয়েছে। এসব বানোয়াট তথ্য প্রচারকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া একটি খবরের হেডিং একরকম, ভেতরে অন্যরকম। এতেও বিভ্রান্ত ছড়ায়। হেডিঙের বিষয়েও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার, আমরা যারা দায়িত্বপালন করছি নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালনের মাধ্যমে আমাদের সমাজকে সুন্দর করা এবং সুন্দর রাখার বিষয়ে অধিক যত্নবান হওয়া দরকার। সমাজে সকলে সকলের প্রতি তথা পরস্পর শ্রদ্ধাবোধ সৃহৃদ সম্পর্ক আমাদের দায়িত্বেরই অংশ।

বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, সমাজের কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গুজব রটায়। এ গুজবকে উস্কে না দিয়ে গুজবকে গুজব বলে যতো দ্রুত সঠিক তথ্য সকলকে জনানো যায় ততোই ভালো। গুজব রটনাকারিদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ফেসবুকসহ যেসব সামাজিক মাধ্যমে একাউন্ট খুলে গ্রুপ করে তথ্য প্রচার করে প্রয়োজনে তাদের এডমিনদের ডেকে নিয়ে বিষয়টি জানানো হবে। গুজব রটনাকারিকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। গুজবে কান দিয়ে সমাজকে অস্থির করার আগে সমাজের সকলকে সজাগ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More