হামলাকারী হেলালকে গাংনী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি থেকে বহিষ্কার

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনী বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিকের ওপর বর্বোরোচিত হামলাকারী সাথী বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী হেলাল উদ্দীনকে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা অ্যাখ্যায়িত করে গাংনী বাজারে হেলাল উদ্দীনের ব্যবসা বন্ধ ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি।
গাংনী বাজার কামিটির আওতাধীন গাংনী বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় গেল ৩০ মে। বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাজিফুর রহমান মানিকের ওপর হামলাকে পৈচাশিক ও বর্বরোচিত উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। অভিযুক্ত হেলাল উদ্দীনসহ হামলকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমুলক সাজা দাবি করেন করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি নেতৃবৃন্দ বলেন, হেলাল উদ্দীন বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি সদস্য। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে গাংনী বাজারে যাতে কোনো প্রকার ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারে; সে বিষয়ে গাংনী বাজার কমিটিকে সুপারিশ করা হয়েছে। অপরদিকে তার দোকান বরাদ্দ বাতিল করার জন্য এসএম প্লাজা মালিকদের কাছেও সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
গাংনী বাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত রেজুলেশন গাংনী বাজার কমিটি, দোকান মালিক ও বস্ত্র ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গেল ২৯ মে দুপুরে গাংনী বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে হাফিজুর রহমান মানিক ও তার ছেলে এবং আরেক ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় বস্ত্র ব্যবসায়ী হেলাল ও তার ভাই বেলাল। আহত তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গুরুতর আহত মানিক ও তার ছেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় হেলাল উদ্দীন ও তার লোকজন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More