ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার গণতন্ত্রকে নিরাপদ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের নবনির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ১২ তলা ভবন ‘বিজয় একাত্তর’ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। সকালে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে এবং বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।’ দেশের সংবিধান লক্সঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়ার জন্য বিচারপতিদের সাধুবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এই রায়ে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার। সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এবং বিশিষ্ট আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জনগণকে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে মুক্তি দিয়েছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে সামরিক ¯ৈ^রশাসক জিয়াউর রহমানের সরকার দায়মুক্তির সংস্কৃতি চালু করে। জিয়াউর রহমান খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কার হিসাবে তাদের বিদেশি মিশনগুলোয় নিয়োগ দেন এবং একই সঙ্গে জেল থেকে মুক্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়াও স্বামীর পথ অনুসরণ করেন। শেখ হাসিনা ছয় বছরের জোরপ‚র্বক নির্বাসিত জীবনের পর দেশে ফেরার কথা তুলে ধরে বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের কারণে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে একটি মামলাও দায়ের করতে পারিনি। প্রয়োজনীয় আইন চালুসহ অবকাঠামো নির্মাণ, বিচারকদের বেতন বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাক এবং জনগণ ন্যায়বিচার পাক।’ তিনি বলেন, বিচার বিভাগের ডিজিটালাইজেশন সম্প‚র্ণ করতে সরকার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত¡াবধানে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসাবে একটি ‘ল ইউনিভার্সিটি’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে সরকার। এই ইউনিভার্সিটির জন্য একটি যথাযথ শিক্ষানীতি প্রণয়নে বিচারক ও আইনজীবীদের সহায়তা প্রয়োজন হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে আদালত সংক্রান্ত নথি নিরাপদে রাখতে একটি রেকর্ড রুম তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ দিতে বলেছি। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে তাদের একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সারা দেশের আইনজীবীদের জন্য আরও ভালো ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে, যেরকম ৬৪টি জেলা আদালতের সবকটির আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More