মহেশপুরে করোনার মধ্যেও চলছে বাল্যবিয়ে : টের পাচ্ছে না প্রশাসন

দাউদ হোসেন: করোনা ভাইরাসে লকডাউনের মধ্যেও মহেশপুর উপজেলার আনাচে কানাচে অহরহ ঘটছে বাল্যবিয়ে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় করোনা ভাইরাসের মধ্যে একাধিক বাল্যবিয়ে সংঘঠিত হয়েছে। এসব বাল্যবিয়ে দেয়ার পূর্বে প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও তারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
প্রাপ্তসূত্রে প্রকাশ, উপজেলার ফতেপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া রিতা খাতুন (১৪) কে গত ১ মে জীবননগর থানার বকুন্ডিয়া গ্রামের সোহাগের সাথে বিয়ে দেয়। অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী বর্ষা খাতুন (১৩) পিতা শরিফুল ইসলাম ফতেপুর নানা আমির শেখের বাড়িতে থেকে লেখপড়া করতো গত ২ জুন তাকে বিয়ে দেয়, ২ এপ্রিল বাবলা মাথাভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৫), ১৮ মে কানাইডাঙ্গা গ্রামের বীথি খাতুন (১৩), ২৮ মার্চ গোপালপুর গ্রামের আমিনুরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া বৃষ্টি খাতুন (১৪), ৩০ মে কানাইডাঙ্গা গ্রামের মোংলার ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেয়। এছাড়া পান্তাপাড়া ইউনিয়নে ৩টি,স্বরুপপুর ইউনিয়নে ৪টি, শ্যাকুড় ইউনিয়নে ৩টি, নেপা ইউনিয়নে ২টি ও কাজীরবেড় ইউনিয়নে ২টি, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩টি, যাদবপুর ইউনিয়নে ৩টি, নাটিমা ইউনিয়নে ২টি, মান্দাবাড়িয়া ইউনিয়নে ৩টি, আজমপুর ইউনিয়নে ২টি এবং মহেশপুর পৌরসভ ৫টি বাল্য বিয়ে সংঘটিত হয়েছে। সকল বিয়েই ৫ম থেকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীদের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী এদের বয়স ১১ থেকে ১৪ বছর হলেও ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জন্ম সনদে তাদের বয়স দেখানো হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ বছর।
স্থানীয়রা জানান, কাজীরা সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এসব বাল্যবিয়ে পড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক বাল্য বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ দেয়া হলেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবাধে বাল্যবিয়ে হওয়াতে একদিকে যেমন স্কুল-মাদরাসা থেকে ঝড়ে পড়ছে শিক্ষার্থী অন্যদিকে বাল্য বিয়ের বহু কুফল পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বত্র। অপরিনত বয়সে বিয়ের কারনে সু-স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা পরিপূর্ণ সংসার গঠন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেক মেয়েরাই। ফলে সরকারের লক্ষ উদ্দ্যেশ্য ব্যহত হচ্ছে। বিয়ের পর স্বামীসহ শশুরালয়ের লোকজনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পাড়ায় তালাক প্রাপ্তা হচ্ছে অনেকেই। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারিনি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More