মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত বস্তাবন্দি নারীর বাড়ী ঝিনাইদহে!

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার অজ্ঞাত বস্তাবন্দি নারীর পরিচয় ও খুনি শনাক্ত করেছে পুলিশ। লাশের বস্তার সূত্র ধরে নারীর পরিচয় ও খুনি শনাক্ত করে পুলিশ। ওই নারীর নাম উলি আক্তার (২৮)। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বর্ধনপুর গ্রামের মৃত ফেলু ম-লের মেয়ে। লাশ উদ্ধারের ১৩ ঘণ্টার মাথায় বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে একটি বস্তার গায়ে লেখা এক ব্যক্তির নামের সূত্র ধরে পুলিশ তার স্বামী মাসুদ মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। তিনি উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে। বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানাধীন রামনগরের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সাংবাদিকদের কাছে এ হত্যাকা-ের লোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করেন। মঙ্গলবার উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের পশ্চিম বেলতলী এলাকার উদনাছড়া ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত বস্তাবন্দি এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খুনি যে বস্তায় ভরে লাশ ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়, তদন্ত কর্মকর্তারা সেই বস্তার গায়ে লেখা অনিক নামের এক ব্যক্তির সন্ধান পায়। পুলিশ শহরের সাইফুর রহমান মার্কেটের পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ী দুই ভাই অনিক ও জুয়েলের কাছ থেকে জানতে পারেন সোমবার তার পূর্বপরিচিত মাসুদ বস্তাটি সংগ্রহ করেন। এ সূত্র ধরে পুলিশ মাসুম মিয়াকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ মিয়া এ হত্যাকা-ের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। মাসুদ জানায়, সে এলাকায় সুদের কারবার করে। ৭-৮ মাস পূবে পরিচয় সূত্রে ডলি আক্তারকে বিয়ে করে। এর আগে মাসুদ আরও ৪টি বিয়ে করে। বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে ডলির সঙ্গে পারিবারিক কলহের সূত্রপাত হয়। এর একপর্যায়ে গত ১৭ মে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওড়না পেঁচিয়ে ডলিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে। পরে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে লাশের বস্তা উদনাছড়া এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় চলন্ত সিএনজি আটোরিকশা থেকে বস্তাটি ব্রিজের ওপর হতে নিচে ফেলে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এবিএম মোজাহিদুল ইসলাম (পিপিএম), শ্রীঙ্গল থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক, পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More