চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো র‌্যাব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া দৌলতপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে যাওয়া তিনদিনের নবজাতক আরিয়ান ইসলাম নুরনবীকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাব। গত বুধবার দুপুরে উপজেলার আল্লার দর্গা এলাকায় নাসির গ্রুপের আনোয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নবজাতকটি নানির কোল থেকে চুরি হয়। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে রাতেই নবজাতককে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। শিশুটিকে চুরির অভিযোগে পলিয়ারা খাতুন (২২) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকা থেকে নবজাতক ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব।
জানা গেছে, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পলিয়ারা খাতুন দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামী হানিফ কাতার প্রবাসী। এই দম্পতির কোন সন্তান নেই। নবজাতক শিশুটির নানা সাঈদ আলী জানান, গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে তিন দিন বয়সী ওই ছেলে নবজাতককে ওই হাসপাতালের অন্য রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে প্রথমে শিশুটিকে কোলে নেন অভিযুক্ত ওই নারী। পরে সুযোগ বুঝে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে নবজাতককে ফিরে পেয়ে খুশির কথা জানান নবজাতকের পিতা দিপু ইসলাম বিজয়। তিনি বলেন, রাতে আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। আমরা অনেক খুশি যা ভাষায় প্রকাশের না। এসময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা শিশুটিকে পেয়েছি, র‌্যাব রাতে উদ্ধার করে হাসপাতালে দিয়ে গেছে। আমরা অনেক খুশি। শিশুটি নিখোঁজের পর থেকে আমরাও খুব চিন্তিত ছিলাম। বাচ্চা ও মা উভয়ে ভালো আছে। আমরা কাল তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেবো। নবজাতক সন্তানকে ফিরে পেয়ে বেজায় খুশি মা সাফিয়া। তার সন্তানকে খুঁজে দেয়ার জন্য তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনেক ধন্যবাদ জানান। র‌্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু জানানো না হলেও র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রাম থেকে শিশুটি উদ্ধার করা হয় এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More