জীবননগর উথলীতে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে তান্ডব ঘঁনায় মামুন গ্রেফতার : বকুলের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

জীবননগর ব্যুরো: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাদিকুর রহমান বকুলের মোটরসাইকেল মহড়া থেকে উথলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হামলা, দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনতা। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজারের দু’শতাধিক ব্যবসায়ী তাদের দোকান বন্ধ রেখে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন থেকে হামলা ও ভাঙচুরের নির্দেশ দাতা জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামের সাদিকুর রহমান বকুলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার মূলহোতা সাদিকুর রহমান বকুলসহ অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা। উথলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি আসাদুর রহমান বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহম্মেদ প্রদীপ, হামলায় আহত আশানুর রহমান, রিজু মিয়া, সাহাবুল হোসেন ও আরিফ হোসেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের সময় সাদিকুর রহমান বকুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। হামলায় অনেক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এসময় দোকানপাট ভাঙচুরকরাসহ দোকানের মালামাল এবং নগদ টাকা লুটপাট করা হয়েছে। হামলাকারীদের হাত থেকে ভ্যানচালক, পথচারী, প্রতিবন্ধী কেউ রক্ষা পায়নি। আমরা সাধারণ ব্যবসায়ী। আমরা কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত না। অথচ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানচ্ছি। একই সাথে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হামলার নির্দেশদাতা বকুলসহ এজাহার নামীয় অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবো। ব্যবসায়ীরা বলেন, মঙ্গলবার বিকেল থেকে জীবননগর শহরে সাদিকুর রহমান বকুলের নেতৃত্বে তার কর্মী বাহিনী রামদা, হাসুয়াসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জীবননগর পৌর শহরে ব্যাপক তান্ডব চালায়। পরে জীবননগর থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় উথলী ডিগ্রি কলেজের সামনে একটি ট্রাক ভাঙচুর করে। পরে উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজারের ব্যবসায়ীদের পিটিয়ে আহত করে এবং দোকান ভাঙচুরসহ দোকানের মালামাল ও নগদ টাকা লুটপাট করে। এই ঘটনায় এক ভ্যানচালকসহ ৬ জন ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই জীবননগর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। উথলী বাসস্ট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি আসাদুর রহমান বিশ্বাস এবং ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকের মালিক শাহাজাহান বাদী হয়ে জীবননগর থানায় মামলা দুটি করেন। আসাদুর রহমানের দায়ের করা মামলায় সাদিকুর রহমান বকুলসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪০-৫০ জন। এ মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই জীবননগর স্টেডিয়াম পাড়ার আবদুল্লাহ আল মামুনকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক মালিক শাহাজাহান আলীর মামলায় সাদিকুর রহমান বকুলসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আটজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ দুটি মামলার সমস্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে মানববন্ধন কর্মসূচির বিরুদ্ধে মৃগমারী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন (কশাই) মৃগমারী গ্রামের বিভিন্ন দোকানে অশালীন মন্তব্য করেছে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। মৃগমারী গ্রামবাসী সাদিকুর রহমান বকুলের অনুসারী ইসমাইল হোসেনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More