কেরুজ ডিস্টিলারিতে ফরেন লিকার মেট ইছাহাকের সাথে নিরাপত্তা কর্মীর লুকোচুরি

দর্শনা অফিস: কেরুজ উৎপাদিত ফরেন লিকার, বাংলা মদ, স্প্রীটসহ মদ তৈরির সরঞ্জাম চুরির ঘটনা বহু পুরোনো। এ চুরির মূলে থাকে ডিস্টিলারি শ্রমিক-কর্মচারীরাই। ডিস্টিলারিতে গোপন ক্যামেরার ব্যবস্থা করায় বহিরাগতদের চুরি কমলেও চোর স্টাফদের মধ্যে তা কমেনি। যেন বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার মতোই ঘটনা ঘটে প্রায়। চুরি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে চিনিকলের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগের ফরেন লিকার গোডাউনের মেট ইছাহাক আলী মোল্লার সাথে নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে ঘটে গেলো লুকোচুরি ও ধাওয়ার ঘটনা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ইছাহাক আলী মোল্লা ফরেন লিকার গোডাউন থেকে বের হন। গোডাউনের গেটেই ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী করিম উদ্দিন। ইছাহাক আলীর প্যান্টের সামনের দিকে উচু হয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় করিম উদ্দিনের। যেমন সন্দেহ, তেমনি কাজ। ইছাহাককে দাড় করিয়ে তল্লাশি করতে চান নিরাপত্তাকর্মী। তল্লাশিকালে করিম উদ্দিনের হাতে বাঁধে জাঙ্গিয়ার নিচে বোতল। তবে বোতলে কি বাংলা মদ, ফরেন লিকার, স্প্রীড না কি মদ তৈরির ক্যামিকেল তা পরিষ্কার হতে পারেননি তিনি। সুযোগ বুঝে ইছাহাক আলী দৌড়ে পালান। সাথে সাথে ডিস্টিলারি গেটে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীকে মোবাইল ফোনে ইছাহাককে গেট দিয়ে বের হতে না দেয়ার জন্য নিষেধ করেন করিম উদ্দিন। গেটে নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্কবস্থায় দেখে অন্যদিকে দৌড় দেন ইছাহাক। পরে ডিস্টিলারিতে খোঁজাখুজি করে ইছাহাকের সন্ধান মিললেও জাঙ্গিয়ার নিচে থাকা বোতলের হদিস মিলেনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাফরুল ইসলাম জানান, তাকে তল্লাশি করে কাছে থাকা বোতল পাওয়া যায়নি। কেরুজ নিরাপত্তা পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন পিনা বলেন, চিনিকলের সম্পদ রক্ষায় সচেষ্ট আমরা। তাই চুরি করে কেউ পার পাবে না হোক না সে যে। একটিসূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ইছাহাকের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে নোট দেয়া হবে। সে মোতাবেক চিনিকল কর্তৃপক্ষ ইছাহাকের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More