চায়না কমলা চাষে সফলতা পেয়েছেন,দামুড়হুদার আব্দুস সামাদ

হাবিবুর রহমান: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় চায়না কমলা চাষে সফল হয়েছেন উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের আব্দুস সামাদ। ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ১৮ কাঠা জমিতে চাষ করেন এই কমলা। এতে ব্যাপক লাভবান হন তিনি। এরপর থেকে প্রতিবছরই নিজের বাগান থেকে ৩-৪ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেন সামাদ।এবার ৯ বিঘা জমিতে কমলার চারা রোপণ করেছেন তিনি। শুধু সামাদ নয়, তাঁর দেখাদেখি ওই গ্রামের আরো কয়েকজন এই কমলার চাষ শুরু করেছেন। এই কমলা খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু।আব্দুস সামাদ জানান, ছোটবেলা থেকে তিনি গাছ লাগাতে পছন্দ করতেন। একদিন জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী জীবননগর উপজেলায় কমলার বাগান হয়েছে।
২০১৯ সালের প্রথম দিকে ওই বাগান দেখতে যান তিনি। বাগান দেখে কমলা বাগান করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। ওই বছরের ফ্রেরুয়ারিতে জীবননগর উপজেলার নিধিকুন্ডু গ্রামের ওমর ফারুকের নার্সারি থেকে ১০০ বারি-৩ জাতের চায়না কলম চারা কিনে গ্রামের ছটাংগার মাঠে ১৮ কাঠা জমিতে লাগান। ২০২০ সালে তাঁর বাগানে ফুল ফল আসতে শুরু হয়।এরপর ২০২১ সালের শেষে ছোট চারা বাগান থেকে ৪০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেন। গত বছর তিনি তিন লাখ ১০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিনি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। গাছে আরো লক্ষাধিক টাকার কমলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই চাষে খরচ খুবই কম।৪ বছরে তাঁর বাগানে সেচ ও সারসহ পরিচর্যা খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। এবার প্রতিটি গাছে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি করে কমলা হয়েছে। তিন বছরে ফল বিক্রি করেছেন ৭ লাখ টাকার। এখনো বাগানে লক্ষাধিক টাকার ফল আছে, যা বিক্রি চলছে। তিনি ঢাকা ও খুলনাসহ স্থানীয় বেপারিদের কাছে বিক্রি করেন। এতে তাঁর সকল খরচ বাদ দিয়ে ৭ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন। তিনি বাগানে কলমের চারা তৈরি করছেন। ইতোমধ্যে দেড়লাখ টাকার কলমের চারা বিক্রি করেছেন। এ ছাড়াও তিনি আরো ৯ বিঘা জমিতে বাগান করেছেন। এর মধ্যে তাঁর দুই বিঘা নিজের জমি ও ৭ বিঘা জমি ১২ বছরের জন্য ৯ লাখ ৮০ হাজার লিজ নিয়ে নিজের তৈরি কলমের চারা দিয়ে বাগান করেছেন। এ ছাড়া তাঁর দেখাদেখি ্রগ্রমের শফিকুল ইসলাম, আবু তাহের মোল্লা, সাইদুর রহমান এই বাগান করেছেন। তবে দামুড়হুদা কৃষি অফিস থেকে সে কোনো ধরনের সহায়তা পাননি বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, নিয়মিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা দেখাশোনা করেন ও সকল ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।তিনি আরো বলেন, কোনো চাষি আগ্রহী হলে তাকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।# #

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More