অক্টোবরেই হতে পারে টি-২০ বিশ্বকাপ

 

স্টাফ রিপোর্টার: টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি পাঁচ মাস। ১৮ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডের খেলা দিয়ে সবচেয় ছোট সংস্করণের ক্রিকেট বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে অস্ট্রেলিয়ায়। এত সময় হাতে থাকার পরও বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট নিয়ে গুঞ্জনের শেষ নেই। সম্প্রতি ভারতের একাধিক মিডিয়া লিখেছে, ২৮ মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অনলাইন সভায় টি-২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আইসিসি থেকে নেয়া হয়নি। বরং টি-২০ বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান সিইও। ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষ হলে সুপার টুয়েলভের খেলা। বাংলাদেশের টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হবে প্রথম রাউন্ড থেকে। গ্রুপপর্বের খেলা থেকে চার দল উন্নীত হবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। সুপার টুয়েলভে যেতে পারলে দীর্ঘ বিশ্বকাপ হবে মাহমুদুল্লাহদের জন্য। ক্রিকেটের বৈশ্বিক মহামন্দা কাটি উঠতে এই বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে হওয়া খুব প্রয়োজন। বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়া মানে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আইসিসি। আয় কমে গেলে সদস্য দেশগুলোকেও পূর্বনির্ধারিত বার্ষিক রেভিনিউ ভাগ দিতে পারবে না।

এ কারণে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও চাচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করতে। স্বাগতিক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও বিশ্বকাপ আয়োজনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলা বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে সিএ। কিন্তু দর্শকহীন মাঠে বিশ্বকাপ করতে চায় না আইসিসি। প্রতিষ্ঠানটি আশাবাদী, অক্টোবরের আগেই কভিড-১৯ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হবে। দর্শকদের অংশগ্রহণেই হতে পারে বিশ্বকাপ। বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাবে, এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। কারণ, বোর্ড মিটিংয়ের কোনো পেপার আমার কাছে আসেনি। ২৮ মের সভায় অবশ্যই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। কোনো সিদ্ধান্ত হবে কিনা, সে ব্যাপারে জানা নেই। বরং আমি যেটা জানি, আইসিসির ইভেন্ট সম্পর্কিত প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। পূর্বনির্ধারিত সূচি ধরে রেখেই এগোচ্ছে তারা। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি, যেভাবে সূচি করা আছে, সেভাবে ইভেন্ট হবে। বিশ্বকাপ না হওয়া বা পিছিয়ে দেয়ার বিষয়ে আমরা অবগত নই।’ বিশ্বকাপের আগে হবে টি২০ এশিয়া কাপ। এসিসির সভাপতি আবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। নিজামউদ্দিন জানান, আইসিসি সভার আগে বা পরে এসিসির সভা হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে টি-২০ এশিয়া কাপের ব্যাপারে। এসিসির অন্য ইভেন্ট নিয়েও কথা হবে সেখানে। এশিয়ার দেশগুলোর জন্য এশিয়া কাপ টি২০ আয়োজন করা খূবই গুরুত্বপূর্ণ। এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ২৫ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ। মন্দা কাটিয়ে উঠতে এই অর্থ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

Comments (0)
Add Comment