চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু এনপিএল ক্রিকেট লিগে জেলা পুলিশের জয়লাভ

স্টাফ রিপোর্টার: আনন্দ উল্লাসে ও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বঙ্গবন্ধু এনপিএল ক্রিকেট লিগে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেছেন। তবে ভালো খেলে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে জয়লাভ করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের শীর্ষ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ একাদশ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে এবং চুয়াডাঙ্গা নাইটিঙ্গেল ক্রিকেট একাডেমির ব্যবস্থাপনায় গত ১ এপ্রিল শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু এনপিএল ক্রিকেট লিগ ২০২০-২১। এ লিগে অংশগ্রহণকারী ৮টি টিমের নামকরণ করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নামে। যেমন: ১. শেখ কামাল একদাশ (চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন)। ২. শেখ জামাল একাদশ (পুলিশ প্রশাসন)। ৩. শেখ রাসেল একাদশ (চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব)। ৪. শেখ আবু নাসের একাদশ (চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড) ৫. শেখ সজিব ওয়াজেদ জয় একাদশ (ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি)। ৬. শেখ রেহেনা একাদশ (চুয়াডাঙ্গা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ক্রিকেট একাডেমি, চুয়াডাঙ্গা) ৭. শেখ মনি একাদশ (চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা)। ৮. শেখ ফজলে নুর তাপস একাদশ (চুয়াডাঙ্গা নাইটিঙ্গেল ক্রিকেট একাডেমি)।
ফিকশ্চার অনুযায়ী গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া প্রথম ম্যাচে শেখ ফজলে নুর তাপস একাদশ ৩১ রানে পরাজিত করে শেখ আবু নাসের একাদশকে। শেখ ফজলে নুর তাপস একাদশের দল নায়ক রাতুল ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন। এ দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন মাসদুউর রহমান জোয়ার্দ্দার সোয়াদ।
দিনের অপর খেলায় দুপুর ২টায় মুখোমুখি হয় শেখ রাসেল একাদশ ও শেখ জামাল একাদশ। শেখ রাসেল একাদশের পক্ষে খেলায় অংশগ্রহন করেণ চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ ও শেখ জামাল একাদশের পক্ষে অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ। মুদ্রা নিক্ষেপণে জয়লাভ করে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব একাদশের অধিনায়ক সরদার আল আমিন প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
গতকালের বোলিং সহায়ক পিচে নির্ধারিত ১৫ ওভারে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব ৯ উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে। তবে রানের পরিমাণ আশাতীত না হলেও দলের অধিনায়ক সরদার আল আমিনের দক্ষ টিম ম্যানেজমেন্টের কারণে জয় পেতে জেলা পুলিশ একাদশকে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে জয়-পরাজয় নিশ্চিতের খেলায় শেষ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ জয়লাভ করে লিগ পর্বে নিজের প্রথম ম্যাচে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফ্লিডিংয়ে ভাল করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন কনস্টেবল (১০৪০) জয়কুমার। জেলা পুলিশ প্রথম ম্যাচে জয়লাভ করায় দলের অধিনায়ক মানবিক পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম সকল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ একাদশের কোচ ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাশ ও ম্যানেজার ছিলেন আরআই হাবিবুর রহমান কাজী এবং সহকারী কোচ ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা অফিসার তদন্ত লুৎফুল কবীর। এছাড়া দলের খেলোয়াড়রা ছিলেন এএসআই শ্রী রমেন কুমার, কনস্টবল রাশেদ, বিপ্লব, সবুর, আবু সাঈদ, আল-মামুন, সারজুল ইসলাম, মেহেরুল্লাহ হোসেন, জয় কুমার, সুজন হোসেন, বিপুল হোসেন। অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন মেহেদী হাসান, সজল হামিদ, সৈয়দ রাসেল, সোহাগ রানা ও তাহিদুল ইসলাম।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের পক্ষে খেলায় অংশগ্রহণ করেন অধিনায়ক সরদার আল আমিন, জামান আখতার, অনিক সাইফুল, সুরেশ কুমার আগরওয়ালা পিন্টু, ইসলাম রকিব, বিপুল আশরাফ, আগুন, সোহেল সজিব, খাইরুজ্জামান সেতু, হোসাইন মালিক, উজ্জ্বল মাসুদ ও পলাশ উদ্দিন। এছাড়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন আবুল হাশেম, রফিক রহমান, মফিজ জোয়ার্দ্দার, মশিউর রহমান ও মাহফুজ মামুন। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কোচ ছিলেন রাজীব হাসান কচি ও ম্যানেজার ছিলেন অতিয়ার রহমান।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার প্রদান ও চমৎকার টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালনকারীর পুরস্কার গ্রহণের সময় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক প্রকাশক ও শেখ রাসেল একাদশের অধিনায়ক সরদার আল আমিন বলেন, আমরা ভালো খেলে পরাজিত হয়েছি এবং জেলা পুলিশ আরও ভালো খেলে জয়লাভ করেছে। আমি জেলা পুলিশ একাদশকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। সেই সাথে সরকার ঘোষিত লকডাউনকে সফল করতে আমরা জনসমাগম এড়িয়ে চলি, মাস্ক ব্যবহার করি, নিয়মিত শরীরচর্চা করি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখি এবং করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে সফলভাবে মোকাবেলা করি।
আজ একই মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হবে শেখ ফজলে নুর তাপস একাদশ ও শেখ সজিব ওয়াজেদ জয় একাদশ এবং দুপুর ২টায় মুখোমুখি হবে শেখ মনি একাদশ ও শেখ জামাল একাদশ। গতকালের খেলাটি পরিচালনা করেন পিয়াস, রাজীব ও প্রান্ত।

Comments (0)
Add Comment