শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চারে বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ধরে বোলিংয়ে শুরু হয় দারুণ। পাল্টা আক্রমণে খুনে ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। মিলিত চেষ্টায় লঙ্কানদের ৩৩ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ সুবাদে ওয়ানডে লিগের চারে বাংলাদেশ। সব সংস্করণ মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচ জয়শূন্য থাকার পর এলো জয়। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে হারিয়ে ১০ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে উঠে এলো চার নম্বরে। ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৭/৬ (তামিম ৫২, লিটন ০, সাকিব ১৫, মুশফিক ৮৪, মিঠুন ১, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাইফ ১৩*; উদানা ১০-১-৬৪-০, চামিরা ৮-০-৩৯-১, ধনাঞ্জয়া ১০-২-৪৫-৩, গুনাথিলাকা ২-০-৫-১, হাসারাঙ্গা ১০-০৪-৪৮-০, সান্দাক্যান ১০-০-৫৫-১)
শ্রীলঙ্কা: ৪৮.১ ওভারে ২২৪ (গুনাথিলাকা ২১, কুসল পেরেরা ৩০, নিসানকা ৮, কুসল মেন্ডিস ২৪, ধনাঞ্জয়া ৯, বান্দারা ৩, শানাকা ১৪, হাসারাঙ্গা ৭৪, উদানা ২১, সান্দাক্যান ৮*, চামিরা ৫; মিরাজ ১০-২-৩০-৪, তাসকিন ৯-০-৬২-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৩৪-৩, সাইফ ১০-০-৪৯-২, সাকিব ১০-০-৪৪-১, মাহমুদউল্লাহ ০.১-০-১-০)।
৩৩ রানের জয়
শেষ ব্যাটসম্যান দুশমন্থ চামিরাকে আউট করে বাংলাদেশকে ৩৩ রানের জয় এনে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে বাঁহাতি পেসারের এটি তৃতীয় উইকেট। মুস্তাফিজকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি চামিরা। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ২৫৭ রান তাড়ায় ২২৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কা। ওভার অসমাপ্ত রেখে মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পর ফিরেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব আল হাসানের ২ ওভারের স্পেল শেষে তাকে আক্রমণে ফেরান অধিনায়ক। বল হাতে নিয়েই উইকেট এনে দেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন ইসুরু উদানা। টাইমিং করতে পারেননি। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৩ বলে দুই চারে উদানা করেন ২১। ৪৪.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৯ উইকেটে ২১১। হাসারাঙ্গার ঝড় থামালেন সাইফ। অবশেষে থামল ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ঝড়। এই অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তাকে পুল করে ওড়াতে চেয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। টাইমিং করতে পারেননি। মিড মিউইকেটে ক্যাচ মুঠোয় নেন আফিফ হোসেন। ভাঙে ৫৯ বলে ৬২ রানের জুটি। ৬০ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ৭৪ রান করেন হাসারাঙ্গা। ৪৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮ উইকেটে ২১১।

 

Comments (0)
Add Comment