স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আড়াইহাজার উপজেলার একটি বাড়ি থেকে তিনটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ১২টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান শেষে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বন্দর থানার আরেকটি বাড়ি ঘেরাও করার কথা জানানো হয়েছে। সেখানেও অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আড়াইহাজারের নোয়াগাঁও মিয়াবাড়ি এলাকার ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করেন সিটিটিসির সদস্যরা। সেখান থেকে তিনটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এছাড়া বোমা তৈরির সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয় বলে সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান। সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার আহমেদুল ইসলাম বলেন, গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে রোববার বিকেলে আড়াইহাজারের মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বোমাটি আড়াইহাজারের এ বাড়িতে তৈরি করা হয়েছিলো। সিটিটিসির বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার এ কে এম রহমতউল্লাহ চৌধুরী বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিনি নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। স্থানীয় লোকজন জানান, মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের পাশে এই একতলা বাড়ির একটি কক্ষে থাকতেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। মাস দেড়েক ধরে অপরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তি তার কাছে আসা-যাওয়া করতেন। তিনি এসব ব্যক্তিকে বন্ধু পরিচয় দিতেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, বন্দর থানার কেওযালা এলাকার আরেকটি বাড়িতেও মামুনের যাতায়াত ছিল। সেখানে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি চলছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ