বুয়েট ও গুচ্ছ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের অনন্য দৃষ্টান্ত

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বুয়েটে চুয়াডাঙ্গার ৩ জন, সমন্বিত গুচ্ছ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন ও বুটেক্সে ৪ জন মেধাতালিকায় ভর্তি যোগ্যতা অর্জন করেছে। এছাড়াও সুবিধাজনক অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে ৫জন। অবাক হলেও সত্য, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৯ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে যাদের নম্বর ছিলো ৯০ এর ওপরে তারাই আবেদনের সুযোগ পায়। এক্ষেত্রে প্রথমে প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করে। প্রিলি পরীক্ষায় বাদ পড়ে ১৮ হাজার। বাছাইকৃত ৬ হাজার ভর্তি ইচ্ছুক লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১১৬০ আসনের বিপরীতে ৬ হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার ৩ জন শিক্ষার্থী মেধার ভিত্তিতে সরাসরি ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। এরা হলো- নাফিউল হাসান, আকিব শিহাব ও আসিফ আরাফাত। বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারী নাফিউল হাসান চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। কুলচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও হোসনে আরার ছেলে নাফিউল হাসান বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ২২১তম স্থানে রয়েছে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলো ২শ তম। প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলো ৩৫৮তম। নাফিউল হাসানের পিতা আনোয়ার হোসেন একজন ব্যবসায়ী। আকিব শিহাব চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যলয় থেকে এসএসসি ও সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। চুয়াডাঙ্গা মালোপাড়ার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও মুছা. আসমা আখতারের ছেলে আকিব শিহাব বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় ৫৮৩তম স্থান অধিকার করেছে। সে বুটেক্সে ৭২তম, সমন্বিত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে ৮৮ তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সে হয়েছিলো ১১০১তম। মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সরকারি চাকরিজীবী। আসিফ আরাফাত চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা নটেরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকবর আলী ও রুবিনা ইয়াসমিনের ছেলে আসিফ আরাফাত বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় ৮শ তম হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলো ৫৫৬ তম। এমআইসটিতে ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলো ৭৬ তম।
এদিকে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটে এবার ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় সমন্বিতভাবে। ৩ হাজার ৮০টি আসনের বিপরীতে এ গুচ্ছ পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার যারা মেধাতালিকায় ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে তার মধ্যে রয়েছে, দৌলাতদিয়াড় মাদরাসাপাড়ার মো. মনজুর হোসেন ও মোছা. নাসিমা আক্তারের ছেলে নাফিস ফয়সাল আশিক ৮৫৪তম, দৌলাতদিয়াড় বাদালপাড়ার আব্দুর রাজ্জাক ও মোছা. মরিয়ম বেগমের ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাকিব ৯৭৭তম, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের জোয়ার্দ্দারপাড়ার জাহিদ হাসান জোয়ার্দ্দার ও তাজনিন আরার মেয়ে জারিন আনজুম জোয়ার্দ্দার রমিতা ১৫৭১তম, থানা কাউন্সিলপাড়ার অ্যাড. রেজউল হক ও নাজমা খাতুনের মেয়ে রোজলীন হক নেহা ১৯২৬তম। চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসপাড়ার এএইচএম সহীদুর রশিদ ও মোছা. পারুল পারভীনের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া টুকটুকি ২৪৯১তম। এএইচএম সহীদুর রশিদ বতর্মানে মেহেরপুর সার্কিট হাউজ এলাকার বাসিন্দা। চুয়াডাঙ্গা কলেজপাড়ার কামরুল ফিরোজ ও জান্নাতুল ফেরদৌসের মেয়ে নাবিলা ফেরদৌস প্রাপ্তি ২৮৮১তম। এছাড়াও সুবিধাজনক অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে যারা তার মধ্যে গুলশানপাড়ার জিয়াউর রহমান ও তহমিনা রহমানের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান জেবু, দৌলাতদিয়াড় কোরিয়াপাড়ার মো. আতিকুল হক ও মোছা. শিরিনা খাতুনের ছেলে সালিম সাদমান সাদাব, শান্তিপাড়ার মো. কামরুল ইসলাম ও কাকলী পারভীনের ছেলে তাসকিন আহমেদ রাহাত, সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার মো. বাবু ও শামছুন নাহারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাপ্পি ও মুক্তিপাড়ার মোস্তাফিজুর রহমান পুলক ও মেহেরুন নেছা মুন্নির মেয়ে মোবাশ্বিরা রহমান রাখি।
এছাড়া বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষায় হাবিবুর রহমান জেবু হয়েছে ৩৫২ এবং তাসকিন আহমেদ রাহাত হয়েছে ৩৫৫তম। ৬শ আসনের বিপরীতে এর ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More