চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ভাষাসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন

মেহেরপুর অফিস: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মেহেরপুরের বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেনকে দাফন করা হয়েছ। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার (নিমতলা) জামে মসজিদের সামনে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করে মরহুমের মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পুলিশের একটি চৌকস দল তার লাশে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় বিহ্বলের করুণ সুর বেজে ওঠে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা কৃষক লীগের পক্ষ থেকে মরহুমের মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর একই স্থানে জানাজা শেষে শহরের পুরাতন কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
নামাজে জানাজার প্রাক্কালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম রসূল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, মরহুমের ছেলে জুয়েল সেখানে বক্তব্য রাখেন।
এদিকে তার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজ আল আসাদ, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহবুব আলম শান্তি, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গেল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাষা সৈনিক ইসমাইল হোসেন মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More