চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন পুকুরের মধ্যে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন পুকুরের মধ্যে ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। পুকুরের পাড় ভেঙে যাবার কারণে যে কোনো সময় পেছনের মাটি ধ্বসে গিয়ে ভবনটি পুকুরের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের পেছনে গাইড ওয়াল দিয়ে মাটি ভরাটের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকার শিক্ষানুরাজ্ঞীদের প্রচেষ্টায় শিক্ষার আলো ছড়াতে ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। হাটি-হাটি পা-পা করে ৬৫ বছর বয়স হয়েছে বিদ্যালয়টির। এ প্রতিষ্ঠন থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকেই আলোকিত হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে বিদ্যালয়টিতে শিশু থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে ২৯৯ জন। পূর্ব-পশ্চিম লম্বা লম্বি ৫ কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন একটি ভবনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের জমির শেষ প্রান্তে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা করে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট আর একটি ভবন নির্মাণ গড়ে ওঠে। যেখানে শিক্ষকদের একটি অফিস কক্ষসহ ৩টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। এ ভবনের পেছনে রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরের পশ্চিম পাড় ভাঙতে ভাঙতে ভবনের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। পুকুরের পানির ঢেউয়ে মাটি ধ্বসে ভবনটি প্রায় পুকুরের গর্ভে ঢুকে গেছে। যে কোনো সময় ভবনটি পুকুরের মধ্যে ধসে পড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের সভাপতি আওয়াল হোসেন বলেন, এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ভবনটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে আছে। প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য বলেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) জেলা শিক্ষা অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান এবং পুকরের মালিকেরা সরজমিনে দেখতে এসেছিলো। পুকুরের মালিকেরা তিন মাসের সময় নিয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে গেলে সমস্যার সমাধান হয়তো হয়ে যাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More