চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের সম্পর্শকাতর এলাকায় আবারও উড়ছে অনুমোদিত ড্রোন

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন ড্রোন আবারও উড়ানো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের মুক্ত আকাশে। বিভিন্ন ধরনের ইউটিউব, ফেসবুক ভিডিও নির্মাণের নামে পুরোপুরি অবৈধভাবে উড়ানো হচ্ছে এসব মনুষ্যবিহীন উড়োযান বলে অভিযোগ উঠেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ড্রোন আমদানি, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও কয়েকজন উঠতি বয়সী যুবক তা না মেনেই মুক্ত আকাশে ড্রোন উড়াচ্ছে নির্বিঘেœ।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদমারী মাঠ, দৌলাতদিয়াড়, পীরগঞ্জ (ঠাকুরপুর) জামে মসজিদ, বড় মসজিদ, ঘোলদাড়ী মসজিদসহ বেশকিছু দর্শনীয় স্থানে এ যুবকরা ড্রোন উড়াচ্ছে। এমন কি এরা পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুর গিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে ভিডিও করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে রাতরাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এসব যুবক উচ্চ দামে ড্রোন কিনে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছে ফেসবুকে, ইউটিউবে। প্রশ্ন উঠেছে এ যুবকেরা আদৌ জানে, ড্রোন আকাশে উড়ানোর ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ?
সিভিল এভিয়েশন সূত্র থেকে জানা যায়, সিনেমা, নাটকের শুটিং, জমির পরিমাপ, কৃষি গবেষণায় অনধিক ১৫০ গ্রাম ওজনের ড্রোন দেশের অভ্যন্তরে আকাশসীমায় উড়াতে হলে দেড় মাস আগে অনুমতি নিতে হবে। নির্দেশনা না মেনে কেউ আকাশে ড্রোন উড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবে মুক্ত আকাশে ড্রোন উড়ানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদে খসড়া চূড়ান্ত ড্রোন উড়ানোর নীতিমালা করা হয়েছে, এতে ড্রোন উড়ানোর জন্য তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। গ্রীন জোন, ইয়েলা জোন ও ও রেড জোন। গ্রীণ জোনে অনুমতি লাগবে না, ইয়েলো জোনে অনুমতি লাগবে। ইয়েলো জোন সংরক্ষিত ও সামরিক এলাকা। রেড জোনে বিশেষ অনুমতি লাগবে। রেড জোন বলতে এয়ারপোর্ট ও কেপিআই। অথচ শহরের অদূরে ঠাকুরপুর জামে মসজিদ এলাকায় উঠতি বয়সে যুবকদের ড্রোন উড়াতে দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য ঠাকুরপুর মসজিদ ও বিজিব ক্যাম্প পাশাপাশি। যুবকরা এখানে ড্রোন উড়ানোর অনুমতি নেয়নি। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর ভারত সীমান্তবর্তী জেলা। এই দুই জেলাতে ইচ্ছামত উচ্চ ক্ষমতার ক্যামেরা যুক্ত ড্রোন উড়াচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু যুবক।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, ড্রোন উড়ানোর সংবাদ পাওয়া মাত্রই পরীক্ষা নীরিক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ড্রোন যে কেউ ইচ্ছে করলেই উড়াতে পারবে না। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার মুক্ত আকাশে ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More