জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইউএনও মুনিম লিংকন

উৎসবের আমেজে কেন্দ্রে এসে ভোট দেয়ার আহ্বান

জীবননগর ব্যুরো: রাত পোয়ালেই জীবননগর পৌরসভার নির্বাচন। ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ও ভোটারদের মনে নানা শঙ্কা বিরাজ করছে। ভোট সুষ্ঠু হবে তো? ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবো তো? কেন্দ্র দখল হবে না তো? এমন নানান প্রশ্ন ঘুরে ফিরছে মানুষের মুখে। এ নিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ইউএনও এসএম মুনিম লিংকন। গতকাল শুক্রবার রাতে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ অনুষ্ঠিত করা নিয়ে কথা বলেছেন। বলেছেন ভোট হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন; তার সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোটারদের উৎসবের আমেজে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য তিনি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, শুক্রবার দিনগত রাত ১২টায় সকল প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পর সকল প্রার্থী অদ্যবধি সুন্দরভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে ছোট-খাটো যেসব অভিযোগ এনেছিলেন তার প্রত্যেকটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ করা হয়েছে। সকল প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত সুন্দরভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করেছেন। আমরা আশা করছি এটি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
অপর এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচারণ বিধি প্রার্থীরা ভঙ্গ করছেন কী না তা দেখার জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি হতে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে নিয়োজিত ছিলেন। আজ থেকে তা বৃদ্ধি করে ৯জন করা হয়েছে। ভোটের দিন দুই প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও ১০টি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি মিলে ৩০জন করে মোট ৩শ’ জন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োজিত থাকবেন। ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। এ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, বাঁকা আঁশতলাপাড়া, তেঁতুলিয়া ও জেলা পরিষদের ডাকবাংলো। কেন্দ্রগুলো ডেকোরেটর দিয়ে নির্মাণ করা হবে। এ কেন্দ্রেগুলোর প্রতি বিশষ নজরদারী থাকবে। তিনি বলেন, কোন কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে মনে করছি না। তবে কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রার্থীদের বিষয়ে আমরা বাড়তি নজর রাখবো। তারা যাতে কোন প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিতে অভ্যস্ত। জীবননগরে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, আমারা পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিপুল সংখ্যক প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। জীবননগরে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে সকল প্রকার আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি মরে করছি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে উৎসব করবেন ভোটাররা। তিনি ভোটারদের উৎসবের আমেজে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More