দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কে ছিনতাই হওয়া পাকিভ্যান উদ্ধার : গ্রেফতার ৩

বেগমপুর প্রতিনিধি: দর্শনা ও হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ অভিযান চালিয়ে দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কে চালককে কুপিয়ে ছিনতাই হওয়া পাকিভ্যানটি ঝিনাইদহের সুতুলিয়া থেকে উদ্ধার করেছে। ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এদিকে ছিনতাইয়ের পরপরই পাকিভ্যানটি যার হেফাজতে রাখা হয়েছিলো সেই রাজ্জাককে নিয়েও এলাকায় নানামুখি গুঞ্জন অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, দর্শনা থানার এসআই আলমগীর হোসেন, এএসআই আনারুল ইসলাম ও হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের টুআইসি এএসআই সবেদ আলী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতভর ঝিনাইদহের গোপালখালী এলাকার সুতুলিয়া গ্রামে অভিযান চালাই। অভিযান চালিয়ে গত ২৫ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে দর্শনা-দোস্ত সড়কের দুধপাতিলা দোয়েল ইটভাটার নিকট থেকে পাকিভ্যান চালককে কুপিয়ে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া পাকিভ্যানটি উদ্ধার করে। ছিনতাইয়ের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দোস্ত গ্রামের আব্দুল খালেকের জামাই উজ্জল হোসেন (২২), ঝিনাইদহ জেলার গোপালখালী সুতুলিয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও একই গ্রামের মিন্নাত আলীর ছেলে রহমত আলী।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে উজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে জাহাঙ্গীরে নিকট থেকে ছিনতাইকৃত পাকিভ্যান এবং সহযোগিতা করার জন্য রহমত আলী গ্রেফতার করা হয়। এদিকে গ্রেফতারকৃত তিনজনকেই গতকালই আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। গুঞ্জন উঠেছে উজ্জল প্রথমে পাকিভ্যানটি ছিনতাই করে তারই খালাতো ভাই দোস্ত আমতলাপাড়ার কাদেরের ছেলে রাজ্জাকের নিকট রাখে। পরে সুযোগ বুঝে ভোরবেলা পাকিভ্যানটি নিয়ে উজ্জল তার নিজ গ্রামে চলে যায়। তবে রাজ্জাক ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত না বলে জানিয়েছে। সে জাহাঙ্গীরের নিকট ১৪ হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে। উল্লেখ্য, দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে পাকিভ্যান চালক শুভকে (১৬) গত ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টার দিকে দর্শনা-হিজলগাড়ি সড়কের দুধপাতিলা দোয়েল ইটাভাটার নিকটে কুপিয়ে জখম করে পাকিভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More