দামুড়হুদার ফুলবাড়ি গ্রামে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

ডাকাতির পর গৃহকর্তাকে তুলে হাত ও চোখ বেঁধে ফেলে গেলো ভারত সীমান্তে

কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছির ফুলবাড়ি গ্রামের খলিলের ছেলে খায়রুল বাশার মিলন ও তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বসতবাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, নগদ এক লাখ ৯৭ টাকা ও এক জোড়া হাতের রুলিবালা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতির পর বাড়ির গৃহকর্তাকে হাত ও চোখ বেঁধে ভারত সীমান্তে ফেলে যায় ডাকাতদল। ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের মালিতাপাড়ার প্রধান সড়কের পাশেই মিলনের বাড়িতে। এটি দ্বিতল ভবন। এর মধ্যে নিচতলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন খলিলের ছেলে মিলন। সেখানেই ঘটে ডাকাতির ঘটনা।

মিলন সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি ও আমার স্ত্রী বাইরের বাথরুম যায়। এ সময়ের মধ্যে মিলন ও তার স্ত্রী ঘরের ঢোকে ৬-৭ জন। তারা বাথরুম শেষে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরে থাকা নগদ প্রায় দুই লাখ টাকা ও ড্রেসিং টেবিলের ডয়ার থেকে স্ত্রীর হাতের বালা ও নাকের নথ নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মিলনকে হাত ও চোখ বেঁধে ফুলবাড়ি সীমান্তের ৫৪নং পিলার অতিক্রম করে ভারতের সীমানায় খালের ধারে ফেলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা মিলনের চিৎকার শুনে ভারতীয় সীমান্তের খালের পাড় থেকে রাতেই উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে। রাতেই ফুলবাড়ি সীমান্তের টহলরত বিজিবি মিলনের সাথে কথা বলেছে বলে জানান মিলন ও তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিলন দর্শনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মিলন আরো বলেন, তাদের প্রত্যেকের হাতে পিস্তল, ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র ছিলো। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলা হয় সবাইকে। এরপর বাড়ির ড্রেসিং টেবিলের ডয়ার থেকে নগদ ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, হাতের রুলিবালা ও নাক ফুল নেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছে বলে জানান মিলন।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার এসআই স্বপন কুমার সরকার বলেন, ওসি স্যার আমাকে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ দেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ফুলবাড়ি মিলনের বাড়িতে যায়। সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সার্বিক তদন্ত শেষে মূল ঘটনার কথা বলা যাবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More