দামুড়হুদায় চেকপোস্ট দেখে মোটরসাইকেল ফেলে দু’জনের পলায়ন : ব্যাগে মিললো ৩ কেজি গাঁজা

দামুড়হুদা অফিস: দেশব্যাপী চলমান দু’সপ্তাহের লকডাউনের ৪র্থ দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে যখন ভ্রাম্যমাণ আদালত দামুড়হুদা মোক্তারপুর বাজারে চোকপোস্টে ব্যস্ত ঠিক তখনই মোটরসাইকেলযোগে দু’মাদক ব্যবসায়ীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থামতে বললে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে সাহায্য করতে নির্দেশ দেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাহায্য করার জন্য তাদের কাছে এগিয়ে যেতেই তারা ভৌ-দৌড় দিয়ে পালিয়ে যান। এসময় মোটরসাইকেলের ব্যাগে থাকা ৩ কেজি ২শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে দামুড়হুদার মোক্তারপুর বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলাম। এসময় কার্পাসডাঙ্গার দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল দ্রুত ছুটে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যদেরকে থামাতে বলি। বিজিবি তাদেরকে থামতে সিগনাল দিলে তারা ১৫ ফুট দূরে ব্রেক চেপে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। আমি তাদেরকে নির্ভয় দিয়ে উঠতে বলি এবং সঙ্গীয় বিজিবি সদস্যগণকে সাহায্য করতে বলি। বিজিবি সদস্যগণ কাছে যেতে না যেতেই ওরা দ্রুত উঠে বিপরীত রাস্তায় ভৌ দৌড় দেয়।
এরপর আহমেদ নামে এক বিজিবি সদস্য মোটরসাইকেলের কাছে গিয়ে বড় একটা পুটলি আবিষ্কার করে ও চেচিয়ে উঠে বলেন, স্যার এতে গাঁজা আছে। আমি তখন বিজিবি সদস্যদেরকে তাদের আটক করার নির্দেশ দিই। বিজিবিকে আদেশ দেয়া দেখে স্থানীয়রাও ওই দুই মাদককারবারীর পিছে দৌঁড়াতে থাকে। পরে তাদেরকে আর আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং গাঁজার প্যাকেট প্রকাশ্যে জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধংস করা হয়েছে।
এঘটনাটি জনসম্মুখে প্রকাশ পাওয়ায় স্থানীয় অনেকেই মুখ খোলেন। বলতে থাকেন দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা- গোবিন্দহুদা, বাস্তপুর ও দামুড়হুদা সদরে ভয়াবহ মাদকের বিস্তার ঘটেছে। যা করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘটেছে। কারণ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিনরাত ব্যস্ত থাকায় দিনদিন সক্রিয় হয়ে উঠেছে এসকল মাদক কারবারীরা। এই মাদককারবারীরা ওই এলাকাগুলোর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি। তাই সচেতন মহল মনে করেন যতো দ্রুত সম্ভব ওই সকল চিহ্নিত মাদককারবারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি। তাহলে হয়তো তরুন ও যুবসমাজকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More