ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে যা করার দরকার করা হবে

চুয়াডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে যা করার দরকার করা হবে। ‘নির্বাচনে যেকোনো অন্যায় ও বহিরাগত তৎপরতা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আপনারা জনগণের কাছে যান। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২২ উপলক্ষে আইন-শৃংখলা ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেছেন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ড ও সাধারণ ৭নং ওয়ার্ডের স্থগিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে ১০টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৭৪ জন ভোটার এবং কুতুবপুরের ভুলটিয়া কেন্দ্রে ২ হাজার ১৭৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃংখলা ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, এনএসআই উপপরিচালক জামিল সিদ্দিক, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফুল কবির ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে তিতুদহ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শুকুর আলী, মিজানুর রহমান টিপু, ফারুক হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক, মেম্বার প্রার্থী সমসের আলী, জাহাঙ্গীর আলম, আজাদ আলী মল্লিক ও শরিফুজ্জামান শামিম বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে, কুতুবপুর ইউপির মহসিন আলী বিশ্বাস, রীনা পারভীন, মো. মাসুদ ও রোমেজা খাতুন বক্তব্য রাখেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে বক্তব্য রাখেন এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেন। অভিযোগের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশি কোনো কোনো প্রার্থী অভিযোগ করেন, ভোট সুষ্ঠু হবে না বলে অনেক ভোটারও মনে করছেন। ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্যও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। বহিরাগতরা গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। ভুলটিয়া গ্রামের স্থগিত কেন্দ্রটির বেশিরভাগ প্রার্থী দাবি করেছেন, মাইকিং করে ভোটারদের সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দিতে হবে। প্রত্যেক ভোটার নিজের ভোট দিতে পারবেন এমন ভূমিকা নিতে হবে প্রশাসনকে। একই দাবি, তিতুদহ ইউনিয়নের বেশিরভাগ প্রার্থীর। জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে। দেশের জনগণ সচেতন। ভোটারদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে যা করার দরকার করা হবে। ভোটারদের সম্মান করেন, সীমা লঙ্ঘন করবেন না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More