চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা

কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ : রিমান্ডের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে বিভিন্ন বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও বলিষ্ট নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে দেশ যখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে, ঠিক তখনই একটি কুচক্রীমহল তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে লিপ্ত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক এ গোষ্ঠীকে কোনোভাবেই তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেয়া যাবে না।
অপরদিকে, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটককৃত চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে ছাত্রদ্বয়ের ১০ দিন এবং শিক্ষকদ্বয়ের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আমলি আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আজ মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ ডাক বাংলো থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুল হক বিশ্বাস।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। ভাস্কর্য ঐতিহাসিক নিদর্শন বহন করে। ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়। একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং মদদ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককেই খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যে বা যারা ভাঙচুর করেছেন তাদের কাউকে একচুলও ছাড় দেয়া যাবে না।
প্রতিবাদসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মতিয়ার হোসেন মতি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতান মাহমুদ দীপন, জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুক্তার হোসেন মিলন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, তাহের বিশ্বাস, মাফিজুর রহমান মাফি, আলীম, আব্দুল আলিম ভুলন, ইমরান আহমেদ বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেন, পৌর কৃষকলীগের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সদর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমরান, ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেক লীগের সভাপতি ওয়াসিম, ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য জনি, সরোয়ার, ইমরান শেখ, মানিক, আশিক, শরিফ, রানা প্রমুখ।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মুজিবনগরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম ইতা, প্রচার সম্পাদক কুদ্দুস আলী, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দীন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী কমরউদ্দীন সেলিম, আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ, সুজিত, রাহাতুল্লাহ, ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন, ইউনিয়ন যুলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান মুংলা, সাধারণ সম্পাদক মি. বাবুল মল্লিকসহ আ.লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দ এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুরের গাংনীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আ.লীগ। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ পৃথক এ কর্মসূচি পালন করে। গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকেলে গাংনী প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হুদা, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা মমতাজ কাকলী, পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী শাহানা ইসলাম শান্তনা, জেলা আ.লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু, রাইপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মোকলেছ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ডালিম রানাসহ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান।
এদিকে জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের বাসভবনের সামনে থেকে পৃথক আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে উত্তরপাড়ায় গিয়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক। অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, সাবেক পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন ও সাইফুজ্জামান সিপু, যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম সোবহানসহ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ।
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরকারী, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদসভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এরপর মিছিলটি শহরের বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর শহরের বাজার চত্বরে প্রতিবাদসভায় এসে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছা. শরিফুননেসা মিকি। প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খান চঞ্চল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজানা আলী, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারজেল হোসেন ম-ল, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা কায়দার রহমান, লুৎফর রহমান ও আলমগীর হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মীর মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম বিশ্বাস, পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আরমান, বলুহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, কুশনার আব্দুল হান্নান, সাবদারপুরের নওশের আলী নাসির, এলাঙ্গীর মিজানুর রহমান প্রমুখ।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটককৃত চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে ছাত্রদ্বয়ের ১০ দিন এবং শিক্ষকদ্বয়ের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আমলি আদালতের বিচারক রেজাউল করিমের আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আজ মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদরাসা ইবনে মাসউদ (রা.) এর হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০), একই মাদরাসার শিক্ষক ও মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমীন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল ম-লের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, কুষ্টিয়া শহরে নির্মাণাধীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চারজনকে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তৎসহ ৪২৭/৩৪ ধারায় মামলায় আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করেছি। বিজ্ঞ আদালত আজ দিন ধার্য করেছেন। সেই সাথে আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার একটি মাদরাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More