দারুল আরকাম মাদরাসা চালু ও শিক্ষকদের বকেয়া বেতন প্রদানের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার: দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রকল্প পুনঃঅনুমোদন ও শিক্ষকদের ৬ মাস ধরে বন্ধ থাকা বেতন প্রদানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রকল্প জটিলতায় বন্ধ মাদরাসা চালু ও বকেয়া বেতন প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ইউনুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর একনেকে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৬ষ্ঠ পর্যায়) অনুমোদনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মর্মে নির্দেশনা দেন- দেশের যেসব এলাকায় স্কুল নেই সেখানে মসজিদভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ২০১৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের প্রতি উপজেলায় উক্ত প্রকল্পের (৬ষ্ঠ পর্যায়) অধীনে প্রথম পর্যায়ে ‘দারুল আরকাম’ নামে ১০১০টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে।
মাদরাসাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালে ১০১০জন কওমি ও ১০১০জন আলিয়া মাদরাসার সনদধারী আলেম নিয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। কওমি সনদের স্বীকৃতির পর এটিই প্রথম কওমি আলেমদের সরকারি নিয়োগ। শুরুতে ইফার নিজস্ব সিলেবাসে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও ২০১৯ সালে এসব মাদরাসা ৫ম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদায় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। কিন্তু গত ১১ মে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি পাস হলেও প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম মাদরাসাকে বাদ দেয়া হয়। এতে ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ যেমন অন্ধকারে তেমনি ২ হাজার আলেম শিক্ষক বেতনহীন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
শিক্ষকদের দুর্দশা ও হতাশার কথাসহ ৬ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রকল্প জটিলতা নিরসন করে আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে বকেয়া বেতনভাতা প্রদান, শিক্ষকদের নিয়মিত জনবল হিসেবে উল্লেখ করে স্কেলভিত্তিক বেতন-ভাতা প্রদান, প্রাইমারি স্কুলের ন্যায় দারুল আরকাম শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, দ্রুত পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ করা, দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহে আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণে বরাদ্দ প্রদান, দারুল আরকাম মাদরাসাকে রাজস্বভূক্ত করার নির্দেশনা প্রদান করা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয় স্মারকলিপিতে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক, আব্দুল মালেক, মাসুদ কামাল, আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More