আটকে রাখার ৯ দিন পর ঘর ভেঙে লাশ উদ্ধার করে কবরস্থ করলো পুলিশসহ এলাকাবাসী

মাগুরায় মৃত ব্যক্তির দাফন না করে ঘরের মধ্যে রেখে দেওয়ার ৯ দিন পর প্রশাসনের সহায়তায় এলাকাবাসী লাশ উদ্ধারের পর কবরস্থ করেছেন। জীবিতাবস্থায় ইচ্ছানুযায়ী পরিবারের লোকজন তৈয়ব মোল্যা (৬৫) নামে ওই ব্যক্তির লাশ পাকা ঘরের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। স্খানীয়রা জানান, মাগুরা সদর উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের কারিকরপাড়ার মৃত আরজু মোল্যার ছেলে তৈয়ব মোল্যা মাইজভাণ্ডারী ও লালন অনুসারী ছিলেন। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক না চলে তিনি বাউলদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। গত ২২ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হলে পরিবারের সদস্যরা জানাজা পড়ালেও স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করেনি। এমনকি বসতবাড়ির অন্য কোথায়ও দাফন না করে তার ব্যবহৃত বসতঘরের সঙ্গে একটি কক্ষে লাশ রেখে ইট-সিমেন্ট দিয়ে জানালা-দরজা বন্ধ করে দেন। ওই ঘটনার পর মাগুরার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে মাইজভাণ্ডারী অনুসারীরা লাশ রাখা ওই ঘরের পাশে মোমবাতি এবং আগরবাতি জ্বালিয়ে গান-বাজনা করতেন বলেও তারা জানান। এদিকে ঘরের মধ্যে লাশ রেখে গান-বাজনার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তবে তারা বিরোধিতা করলেও কোনো সুরাহা করতে পারেননি। পরে সোমবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ এবং মাগুরা পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুলের সহায়তায় এলাকাবাসী ওই ঘরটি ভেঙে ফেলেন। পরে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদিন জানান, প্রথাবিরোধী এ বিষয়টি নিয়ে ওই গ্রামে মুসল্লিদের মধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। অবশেষে পৌরসভার নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দিয়ে ঘর ভেঙে লাশ উদ্ধারের পর শান্তিপূর্ণভাবে দাফন করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More