গাংনীতে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় মামলা : গ্রেফতার চারজন জেলহাজতে

গাংনী প্রতিনিধি: সুন্দরী নারীকে দিয়ে পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। টাকা দিয়ে স্বর্বশান্ত হলেও লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খোলে না এসব ভুক্তভোগী মানুষ। তবে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ ছাতিয়ে নেয়া চক্রের সদস্য জোসনা রাণী দাস ও তার তিন সহযোগী। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী এলাকা থেকে রোববার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল। গতকাল সোমবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার হওয়া জোসনা রাণী দাসের তিন সহযোগী হচ্ছে- বামন্দীর মেঘলাল, মফিজুল ইসলাম ও মকলেছুর রহমান। প্রেমের ফাঁদে পড়া ভুক্তভোগী মেহেরপুর শহরের আহসান হোসেন বাদি হয়ে তাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন।
গাংনী থানা ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, এ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদ পেতে যুবক ও ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে যায় বামন্দী এলাকায়। নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছুলে ওই নারীর সাথে নিয়ে জোরপূর্বক ভিডিও করে তা নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এর মধ্য দিয়ে আদায় করে মোটা অংকের টাকা। রোববার সন্ধ্যায় বামন্দী বাজারে জোসনা ও তার কয়েকজন সহযোগী মেহেরপুরের ব্যবসায়ী আহসান হোসেনকে ডেকে নিয়ে তাদের ডেরায় আটক করে। এসময় জোসনার সহযোগীরা আহসানের সাথে ভিডিও করে। এর থেকে রক্ষা পেতে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয় ব্যবসায়ীর কাছে। এছাড়াও ব্যবসায়ীর কাছ থাকা ১২ হাজার ৭শ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। বিষয়টি টের পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। সত্যতা পেয়ে জোসনা ও তার তিন সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। এ সময় প্রতারক চক্রের আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানান, ব্যবসায়ী আহসান হোসেন বাদি হয়ে জোসনা ও তার তিন সহযোগীর নামে গাংনী থানায় চাঁদা দাবির মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জোসনার নামে অনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টির অভিযোগে নরসিংদী থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে বলেও জানান ওসি।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More