গাংনী হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ক্লিনিকে

গাংনী প্রতিনিধি: গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনডোর ও আউটডোরের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ কয়েকটি ক্লিনিকে বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপারের সহায়তায় কতিপয় কর্মচারী সরকারি ওষুধ ক্লিনিকে বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, ক্লিনিকের দালাল হিসেবে পরিচিত কয়েকজন নারী নিজেদের অসুখের কথা বলে ওষুধ নিয়ে তা ক্লিনিকে বিক্রি করেন। অনেকেই বলেছেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দুর্নীতিবাজ বাবু এসব অপকর্মের নেপথ্য নায়ক। তবে স্টোরকিপার বলেছেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।
অভিযোগে জানা গেছে, গাংনীর কয়েকটি ক্লিনিকে সরকারি সরবরাহকৃত ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব ওষুধ ক্লিনিকে ভর্তিকৃত রোগীদেরকে দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ক্যাফটিল, সেফুরক্সিম, মেট্রোনিডাজল, বিকোনিক্স, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রসিনসহ বেশ কিছু জীবন রক্ষাকারী ওষুধ রয়েছে।
ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়া কয়েকজন রোগী জানান, ক্লিনিকে ভর্তি থাকাকালীন কর্তব্যরত নার্স ও ব্রাদার ওষুধের স্ট্রিপ খুলে তা সেবনের জন্য দেন। এ সময় চোখে পড়ে সরকারি ওষুধের স্ট্রিপ। তড়িঘড়ি ওই নার্স ওষুধ সরিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে সকল ডকুমেন্টস চলে যায় সাংবাদিকদের কাছে।
একটি সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতালে সরবরাহকৃত সব ওষুধ ব্যবহার হয় না। অনেক ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তা বিনষ্ট করে ফেলতে হয়। এ সুযোগে মেয়াদোত্তীর্ণের আগেই ক্লিনিকের সাথে যোগাযোগ করে তা বিক্রি করা হয়। এর জন্য স্টোর কিপারকে দায়ী করেছেন অনেকেই।
এদিকে বিভিন্ন ক্লিনিকের দালাল হিসেবে পরিচিত কয়েকজন নারী নিজেদের নামে ওষুধ নিয়ে তা বিক্রি করেন ক্লিনিকে। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোরকিপার দবির উদ্দীন জানান, প্রতিটি ওষুধের হিসেব রয়েছে। নার্স ও আউটডোরের কম্পাউন্ডারের দেয়া চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সেখান থেকে তারা কি করে সেটা তাদের ব্যাপার। স্টোর থেকে কোনো ওষুধ বাইরে বিক্রি করা হয় না।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন নাসির উদ্দীন জানিয়েছেন, ওষুধ পাচারের বিষয়টি শুনেছেন এবং এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More