চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ নয় ৫৯ ই রয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে চুয়াডাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হলেও তা সঠিক নয় বলে বুধবার দুপুরে জানানো হয়েছে।  চুয়াডাঙ্গায় কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে সর্বশেষ  দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুরের ওসমান গণী মারা গেছে বলে জানানো হয়। প্রকৃত পক্ষে তিনি বাড়ি থেকে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার আরও ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের একজনের বাড়ি জেলা শহরের গুলশানপাড়ায় ও দুজনের বাড়ি শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার নতুন ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। এদিন পূর্বে প্রেরিত ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসে। ২৫ জনের নেগেটিভ হলেও ৩ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯শ ৫ জনে। সুস্থ হয়েছেন আরও ২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৮৩ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে গতকাল মৃতের সংখ্যা এক বেড়ে ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। সূত্র বলেছেন, দামুড়হুদা মুন্সিপুরের ওসমান গণী (৫৮) বেশ কিছুদিন ধরে করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ১২ মে পজিটিভ হয়। পরদিন তথা ঈদের আগের দিন তিনি বাড়িতেই মারা যান বলে জানানো হলেও তা সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে ওইদিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে সুস্থ আছেন। তথ্যগত ত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। অপরদিকে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৮শ ৫৫ জনে রনমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২শ ৭২ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২শ ১১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৫শ ১৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৯ হাজার ২শ ৯০ জনের। কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯০৫। সুস্থ হয়েছেন ১৭৮৩। মারা গেছেন৬০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ৬২ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৩ জন, জীবননগর উপজেলার ১৬ জন। সদর উপজেলার ২৯ জনের মধ্যে হাসপাতালে ৩ জন, রেফার্ড ৩ জন, আলমডাঙ্গার ৪ জনের মধ্যে ৩ জন হাসপাতালে, ১জন বাড়িতে। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩ জনের মধ্যে ৯ বাড়িতে ৪ জন হাসপাতালে ও জীবননগর উপজেলার সকলেই নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More