চুয়াডাঙ্গায় সরকারি চাল জব্দ : রোববার দাখিল হতে পারে তদন্ত প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দুটি গুদাম থেকে সরকারি কাবিখা প্রকল্পের ১ হাজার ২৬৬ বস্তা চাল জব্দের ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিলো ওই ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির। কিন্তু তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় আগামী রোববার প্রতিবেদন জমা দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম। তিনি জানান, ওই ঘটনার সাথে পার্শ¦বর্তী জেলা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সংশ্লিষ্টতা থাকায় তদন্ত সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে। সেখানকার খাদ্য অধিদফতরের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে জব্দকৃত চালগুলো মূলত কাবিখা প্রকল্পের। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিঘ্রই জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে সরকারি চাল জব্দ ও গুদাম সিলগালার ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন ও অন্য সদস্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মুঠোফোন রিসিভ হয়নি। তবে, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় ওই দিনই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম। জেলা প্রশাসক আরও জানান, এ কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু পার্শ¦বর্তী জেলা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সংশ্লিষ্টতা থাকায় সেখানে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে বিলম্ব হচ্ছে। আগামী রোববারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই বিষয়টি পরিস্কার হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের সাতগাড়িস্থ গুদাম দুটিতে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ২৬৬ বস্তা সরকারি কাবিখা প্রকল্পের চাল জব্দ করে সদর উপজেলা প্রশাসন। তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে দেয়া হয় গুদাম দুটিকে। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনকে প্রধান করে গঠন করা হয় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। ওই দিন গুদাম মালিক নজরুল ইসলাম দাবি করেন, মেহেরপুর-২ আসনের (গাংনী) সংসদ সদস্য সাহেদুজ্জামানের কাছ থেকে কাবিখার এ ৩৮ টন চাল ক্রয় করেন আলমডাঙ্গার ব্যবসায়ী গৌতম ও অশোক। পরে গাংনী উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চালগুলো নিয়ে এখানে রাখা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More