চুয়াডাঙ্গায় ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩৭ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সনাক্তের হার ৬৬ দশমিক শূন্য ৭। সপ্তাহ জুড়ে যে রোগী শনাক্ত হয়েছে তার হার ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনিবার নতুন ৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিলো ২৬৫ জন। এর মধ্যে ৩ জন চুয়াডাঙ্গার পাশর্^বর্তী দুটি জেলার বাসিন্দা।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে শনিবার রাতে ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। নতুন শনাক্ত ৩৭ জনের মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার ২০ জন, জীবননগর উপজেলার ১২ জন, সদর উপজেলার ২ জন ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩ জন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া মিরপুরের মালিহাদের একজন রয়েছেন। জীবননগর উপজেলার ১২ জনের মধ্যে সাথী অটো রাইস মিলেরই ৭ জন। এর আগেও এ প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। জীবননগরের বাকি ৫ জনের মধ্যে উথলীর ২ জন, জীবননগর হাসপাতালপাড়ার ১ জন, সুটিয়ার ১ জন ও বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ১ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ২০ জনের মধ্যে ৬ জনের ঠিকানা দেয়া আছে শুধুমাত্র দামুড়হুদা। বাকি ১৪ জনের মধ্যে মজারপোতার ১ জন, ধান্যঘরার ১ জন, হাতিভাঙ্গার ১জন, মদনার ৩ জন, দেউলীর ১ জন, উত্তর চাঁদপুরের ১ জন, কার্পাসডাঙ্গার ২ জন, কুড়ালগাছির ১ জন, মুক্তারপুরের ১ জন ও চিৎলার ২ জন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ টি গ্রাম উপজেলা প্রশাসনের তরফে লকডাউন করা হয়েছে। এ উপজেলায় যেমন সংক্রমণের হার বেড়েছে, তেমনই একের পর এক মৃত্যু হচ্ছে। দামুড়হুদা উপজেলার পাশাপাশি জীবননগর উপজেলায়ও করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন শনাক্ত ২ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি হাসপাতালপাড়ায় ও অপরজনের বাড়ি কোর্টপাড়ায়। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৩ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি কুষ্টিয়া মিরপুরের মালিহাদে, অপর দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি নওদা ব-বিল ও অপরজনের বাড়ি হারদী।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন ৩৭ জনকে নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২শ ২২ জন। শনিবার আরও ২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১ হাজার ৮শ ৮৬ জন। মারা গেছেন ৭১ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগি সদর উপজেলার ৬৫ জন। এর মধ্যে ৫০ জন বাড়িতে, ১৪ জন হাসপাতালে, একজন রেফার্ড রয়েছেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার হিসেবে শনাক্তকৃত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন বাড়িতে, ৩ জন হাসপাতালে ১ জন রেফার্ড রয়েছেন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩০ জনের মধ্যে ১০৯ জন বাড়িতে, ২০ জন হাসপাতালে, ১ জন রেফার্ড। জীবননগর উপজেলায় ৪৮ জনের মধ্যে ৪৭ জনই বাড়িতে। একজন হাসপাতালে। শনিবার নতুন ৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১০ হাজার ৯শ ৫৪ জনের নমুনা নেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১০ হাজার ৫শ ৩১ জনের। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে যে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গার ১৮ জন, দামুড়হুদার ২০ জন, জীবননগর উপজেলার ৪ জন। অপরদিকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশের ১১ হাজার ৫শ ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট ৬১ লাখ, ৫৬ হাজার ৩শ ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার নতুন ১ হাজার ৬শ ৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১শ ৮ জন। মোট শনাক্তকৃত ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪শ ৮৬ জনের মধ্যে সুস্থ হলেন মোট ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ১৩ হাজার ৭১ জন।
দেশের সীমান্তবর্তি চাপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষ্মীরা, কুষ্টিয়াসহ বেশ কিছু জেলার বহু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদারও ১৮টি গ্রাম লকডাউন করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পুনঃ পুন আহ্বান জানানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। এতোকিছুর পরও চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে মাস্কপরাসহ হাটবাজারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার তেমন নজির মিলছে না।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More