দামুড়হুদার সুলতানপুরে বিজিবির অভিযান, ভারতে পাচারকালে সোনার বারসহ যুবক আটক

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ৮১৬ গ্রাম ওজনের ১১টি সোনার বারসহ তরিকুল ইসলাম নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ঝাঝাডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক তরিকুল ইসলাম (৩২) দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। তার কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বারগুলোর ওজন ৮১৬ গ্রাম। বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দামুড়হুদা সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনার বার চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে সুলতানপুর বিওপির কমান্ডার নায়েক রবিউল ইসলাম ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর থেকে আনুমানিক ৬০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের পাকা রাস্তার পাশে অবস্থান করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় একজন ব্যক্তিকে হেঁটে ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তর দিকে যেতে দেখলে বিজিবি সশস্ত্র টহল দল তাকে চ্যালেঞ্জ করেন। বিজিবি সশস্ত্র টহল দলকে দেখে ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহল দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাকে ধাওয়া করে আটক করে। এ সময় আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিকভাবে তার কাছে কোনো চোরাচালানি পণ্য নেই বলে তিনি বিজিবিকে জানান। পরে বিজিবি টহলদল আটক চোরাকারবারির দেহ তল্লাশি করে কোমরে লুঙ্গির ভাজে অভিনব কায়দায় সাদা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৮১৬ গ্রাম ওজনের ছোট বড় ১১টি সোনার বার এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, সোনার বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক আসামির বিরুদ্ধে নায়েক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More