দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে চুয়াডাঙ্গায় : তীব্র শীত অনুভূত

মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি নিচে। ঢাকায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, পাবনা ও নওগাঁ অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। তীব্র শীতের মধ্যে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন। শহরে মানুষের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। অধিকাংশ দোকান পাঠ ছিলো বন্ধ। তবে শীতের সন্ধ্যায় বিজয়ী প্রার্থীদের নেতাকর্মীদের অনেকেরই খ- খ- মিছিল করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিবঙ্গে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মরসুমের স্বাবাবক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওা শুষ্ক থাকবে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী আববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপবর্তিত থাকতে পারে। ২দিনের পূবাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। ৫ দিনের পূর্বাভাবে বলা হয়েছে সামান্য পরির্তন হবে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৭ ও সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ এ তাপ গতকাল বিকেল ৩টায় রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। যশোর গতকাল সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৬ ও সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে প্রায় একইমাত্রার শীত অনুভূত হয়েছে। শীতে দুস্থদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে ১০০ শয্যার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাজিদ হাসান জানান, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ চলছে। জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার জানান, জেলার চারটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে এ পর্যন্ত ২০ হাজার ৭০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩৫ লাখ টাকার কম্বল ও শীতবস্ত্র কিনে বিতরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More