পতাকা বৈঠকের পর সীমান্তে পড়ে থাকা নারীর লাশ গ্রহণ করলো মেহেরপুর পুলিশ : বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: সীমান্তে পড়ে থাকা অজ্ঞাত নারীর মরদেহ অবশেষে উদ্ধার করেছে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ গ্রহণ করে। এর আগে সোমবার সকালের দিকে ভারতের ৮২ বিএসএফের বেস্টগঞ্জ কোম্পানির সদর থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে ওই নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তড়িঘড়ি করে ওই মরদেহ বাংলাদেশের সীমানায় ফেলে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
বাজিতপুর গ্রামের কৃষক হামিদুল ইসলাম ও রমজান আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গত ২-৩ দিন ধরে ওই নারীকে সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। তার বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। সম্ভবত রোববার তার মৃত্যু হয়েছে। পরে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা তড়িঘড়ি করে ওই মরদেহ বাংলাদেশের সীমানায় ফেলে যায়।
বাজিতপুর গ্রামপুলিশ আনোয়ার হোসেন জানান, সকালের দিকে গ্রামের লোকজনের মুখে সীমান্তে এক নারীর লাশ পড়ে থাকার কথা শুনি। পরে আমি বিজিবি ক্যাম্পে জানায়। তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের ওপাশে ভারতের বেস্টগঞ্জ গ্রাম। ওই গ্রামের লোকজন আমাদের জানিয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে বিএসএফ নাকি অনেক মারধর করেছে। এ কারণে হয়তো সে মারা গেছে।
মরদেহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে থাকায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। বিকেলের দিকে সীমান্তের ১১৯নং আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবির বুড়িপোতা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শেখ শহীদ ও বিএসএফের বেস্টগঞ্জ কোম্পানির ইন্সপেক্টর ধর্মেন্দ্র ত্রিপাঠি বৈঠকের নেতৃত্বে দেন। বৈঠকে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ্ দারা খানসহ উভয় দেশের ৬ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে লাশের পরিচয় শনাক্তের অস্বীকার করায় মেহেরপুর পুলিশকেই বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ গ্রহণ করতে হয়। ময়নাতদন্ত করে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মেহেরপুর সদর থানার এসআই আব্দুল মজিদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে যা যা করার সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর থানার ওসি শাহ্ দারা খান জানান, দুপুরে আমরা সংবাদটি পাই। আমি নিজে থানার পুলিশ সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে ভারতীয় বিএসএফ লাশটি শনাক্ত করতে পারিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমানায় থাকায় বেয়ারিশ লাশ হিসাবে ময়নাতদন্ত করে দাফন কার্যক্রমসহ আঞ্জুমান মফিদুল সংস্থার কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More