বিএসএফের গুলিতে নিহত মুন্তাজের লাশ ৬ দিনের মাথায় হস্তান্তর

দামুড়হুদার কামারপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকে পর লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ

দর্শনা অফিস: দর্শনার ছোটবলদিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক মোনতাজের লাশ অবশেষে ফেরত দেয়া হয়েছে। নিহতের ৬ দিনের মাথায় গতকাল শুক্রবার বিকালে দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়ার সীমান্তের ৮১ মেইন পিলারের বিজিবি-বিএসএফ’র কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যার দিকে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে বিএসএফর কাছ থেকে মুন্তাজের লাশ গ্রহণ করে পুলিশ। সন্ধ্যার পরপরই লাশ তুলে দেয়া হয় স্বজনদের হাতে। গতরাত ৮টার দিকে স্থানীয় গোরস্থানে ২ সন্তানের জনক মুন্তাজের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির এডি ইমরান হোসেন, দর্শনা সুলতানপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান, দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (অপরেশন) নীখিল চন্দ্র অধিকারী, এসআই স্বপন কুমার সাহা, গেদে বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার এসি নগেন্দ্র পাল, কৃষ্ণনগর সার্কেল পুলিশের ডিএসপি সুভাষ চন্দ্র রায় প্রমুখ।

গত ৮ অক্টোবর শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছোটবলদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মুনতাজ আলীসহ (৩৫) কয়েকজন অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে মহিষ নিয়ে আসছিলেন। গভীর রাতে ৪টি মহিষ নিয়ে সীমান্তের ৮২/৮৩ মেইন পিলারের মধ্যবর্তী ৩নং সাব পিলারের নিকট পৌঁছুলে ভারতীয় বিজয়পুর বিএসএফ ক্যাম্পের টহলদল চোরাচালানীদের লক্ষ্য করে পরপর ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও বিএসএফের গুলিতে মুনতাজ আলী ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরদিন রোববার সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। পরে কৃষ্ণগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে তারা। ঘটনার পর থেকেই বিজিবির পক্ষ থেকে দফায় দফায় পত্র প্রেরণের মাধ্যমে লাশ ফেরত চাওয়া হচ্ছিলো। মুন্তাজের লাশ ভারতে ময়নাতদন্তসহ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে ঘটনার টানা ৬ দিনের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দিয়েছে।

ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বাবিন মুখার্জী জানান, সেদিন সকালে এক বাংলাদেশি মহিষ ব্যবসায়ীর মরদেহ থানায় হস্তান্তর করে বিএসএফ সদস্যরা। নিহত ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে মহিষ নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানায় বিএসএফ। ঘটনার দিন মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ সেখানেই সংরক্ষিত রাখা হয়। আজ মরদেহ আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হলো।

দর্শনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নিখিল চন্দ্র অধিকারী বলেন, মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More