মাসুমার বিদেহী আত্মার শান্তির জন্য দোয়াসহ দোষীর শাস্তি দাবি 

মাদরাসা ছাত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার কালামের রিমান্ড শোনানী ২৯ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার: মাদরাসা ছাত্রী মাসুমা আক্তারকে উত্ত্যক্তসহ আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মাসুদ রানা গতকাল বুধবার এ আবেদন করেন। আদালত আগামী ২৯ মার্চ রিমান্ড শোনানীর জন্য দিন ধার্য করেছে। এদিকে মাসুমা আক্তারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের হকপাড়াস্থ বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মাহফিলে এলাকার অসংখ্য মুসল্লি শরিক হয়ে মাসুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। একই সাথে তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী আরামপাড়ার কালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান। পারিবারিক উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে মুফতি মাহমুদ রশিদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক হিসাব রক্ষক আবু বক্কর, সাবেক কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার কদর, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ইসমাইল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মকর্তা আব্বাস আলী, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিরাজুল ইসলাম কাবা, আশরাফ আলী, মুনতাজ আলী, সাকিব শেখ, মেহেদী হাসান, আসিব অন্যতম।

প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের হকপাড়ার আমিনুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনের অদূরবর্তী গমপট্টির নিকটস্থ স্থানের চা দোকানি। তার ৪ মেয়ের মধ্যে মাসুমা আক্তার ছিলো সবার ছোট। মাদরাসার একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনার পাশাপাশি অসুস্থ পিতার ব্যবসায় সহযোগিতা করতো মাসুমা। এই মাসুমার দিকে কুদৃষ্টি পড়ে জেলা শহরের আরামপাড়ার মোবারক হোসেন ওরফে মোবার ছেলে আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালামের। কালাম তার ঘরে স্ত্রী রেখে মাসুমাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বিয়ের জন্য নানাভাবে চাপ দেয়। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাসুমাসহ মাসুমার পিতাকে হুমকি ধামকি দেয়। এরই এক পর্যায়ে গত ১৮ মার্চ সকালে দোকানে ছিলো মাসুমা। দোকানে বসে একজন চা পান করছিলেন। কালাম ওই ব্যক্তিকে মারধর করে। মাসুমা প্রতিবাদ করে। কালাম মাসুমাকে চড় থাপ্পড় মারে। হাতুড়ি দিয়ে মারতে গেলে মাসুমা পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এ ঘটনার একদিন পর ২০ মার্চ বিকেলে হকপাড়াস্থ নিজের বাসায় আত্মহত্যা করে মাসুমা। আত্মহত্যার আগে দু’পৃষ্ঠার একপত্র লিখে রেখে যায়। পুলিশের ভাষায় যাকে সুইসাইড নোট বলা হয়। ওই নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাসুমার পিতা এরপরও আইনগত ব্যবস্থা নিতে ভয় পান। পুলিশের সাহস পেয়ে ওই রাতে কালামের বিরুদ্ধে সদর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। পরদিন মাসুমার মৃতদহে ময়নাতদন্ত করা হয়। সন্ধ্যায় দাফন সম্পন্ন হয়। ওই রাতেই ভোরে পুলিশ আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা থেকে আসামি কালামকে গ্রেফতার করে। ওইদিনই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের আদেশে প্রেরণ করা হয় জেলহাজতে। এর পরদিন গতকাল বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত শোনানীর জন্য ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More