হাড় কাঁপানো শীতে সীমাহীন ভোগান্তি : শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে আসছে বৃষ্টি

চুয়াডাঙ্গাসহ ১৩ জেলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ : সূর্যের দেখা মিললেও ছড়াতে পারেনি

বেড়েছে কুয়াশার দাপট : বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অব্যাহত
স্টাফ রিপোর্টার: পৌষের শেষে তীব্র শীতে কাঁপছে দেশ। ১৩ জেলায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। উত্তরের হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশের মানুষই এখন শীতে কাবু। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীতের তীব্রতার মধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে আসতে পারে বৃষ্টি। এতে শীত আরও তীব্র হবে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এছাড়া নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশকি ৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো টেকনাফে ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মরসুমে আজ টানা তৃতীয় দিনের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। ঘন কুয়াশা বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ঝরছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ ও ৯টায় ৯৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। টানা তিন দিনের এই শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন অনেকটা থমকে গেছে। বিশেষ বা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় যানবাহন চলাচল দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় এবং উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুন। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ, যার ফলে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের শীর্ষ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শনিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা চুয়াডাঙ্গার এই মরসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটারে নেমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও ২/১ দিন অব্যাহত থাকবে। সামনের সপ্তাহে বৃষ্টির শঙ্কা আছে। এতে তাপমাত্রা আবার কমে যাবে।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের কারণে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। বিশেষ করে সদর হাসপাতালের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘শীতে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অলম্বন করতে হবে। কয়েক দিন ধরে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীদেরকে চিকিৎসা এবং সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। টাটকা ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করতে পারলে ভালো হয়। আর শিশুদের সকাল সন্ধ্যায় গরম পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কোনোভাবেই বেশি ঠা-া লাগতে দেওয়া যাবে না’।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী মিজানুর রহমান অন্যান্য দিনের মতো আজও ভোর থেকে শহরের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে নেমেছেন। তাকে নির্দিষ্ট এলাকার সব ময়লা-আবর্জনা সকাল আটটার মধ্যে পরিষ্কার করে গার্বেজ স্টেশনে ফেলতে হয়। শহরের শহীদ আলাউল হক সড়কে কর্মরত অবস্থায় সকাল সাড়ে ছয়টায় কথা হয় মিজানুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কদ্দিন ধইরে যেরাম জাড় (শীত) লাগজে, তাতে মনডা বলচে না ঘর থিকে বের হই। কিন্তু, উপায় নেই। তাই জাড়ের মদ্দিই কাজে নাইমে পড়িচি।’
পৌর এলাকার মালোপাড়ার বাসিন্দা মৎস্যজীবী দুই ভাই ভরত হালদার ও জিড়েন হালদার একই সুরে বলেন, গত কয়েক দিনের শীতের কারণে মাছ ধরতে পুকুরে নামা খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানিতে নামলেও বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। যে কারণে বাজারে মাছের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় উচ্চ মূল্যে তা বিক্রি হচ্ছে।
মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে চুয়াডাঙ্গা হয়ে ঢাকার পথে চলাচলকারী রয়েল এক্সপ্রেসের চালক প্রদীপ কুমার বলেন, স্বাভাবিক সময়ে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ৮০ কিলোমিটার থাকলেও ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে আসায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি তোলা যাচ্ছে না। তা ছাড়া বৃষ্টির ফোঁটার মতো কুয়াশা ঝরতে থাকায় গাড়ির কাচ ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। জ্যেষ্ঠ এই চালক বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যেও ছোট ও মাঝারি যানবাহনের চালকেরা ‘ফগ লাইট’ না জ্বালিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট সড়কে দোকান পাহারায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নৈশপ্রহরীর কাজ করে চলেছেন মো. বড় বুড়ো মিয়া (৫৫)। তিনি বলেন, ‘রাতির ব্যালা কুয়োর (কুয়াশা) ঠ্যালায় পাঁচ হাত দূরিও কিচু দ্যাকা যায় না। সাতে কনকনে ঠা-ায় শরীলডা হিম হয়ে যায়। গরম কাপুড় না থাকায় খুপই কষ্ট করে ডিউটি করতি হয়। শীতির হাততি বাঁচতি ছিঁড়া কাগজের টুকরা জ্বালি রাত পার কত্তি হয়।’
এদিকে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র ও শীতের কম্বল বিতরণ করেছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এবার শীত মরসুমে ৪টি পৌরসভা, ৩৯টি ইউনিয়নসহ জেলার ৪ উপজেলায় অন্তত ১৭ হাজার ৬৫০টি শীতবস্ত্র-কম্বল পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) তা বিতরণ শুরু করেছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ এবং সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটতে পারে। এদিকে শীতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বিক্রি। ঠা-া-কাশিসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। দিনাজপুর ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা এবং কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মানুষের আয় রোজগারেও এর প্রভাব পড়ছে। শীতে গবাদিপশু এবং ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ১৮-১৯ জানুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, উত্তরাঞ্চলের বেশকিছু জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আরও দু-এক দিন এই অবস্থা থাকতে পারে। তবে রোববার রাতে দু-এক জায়গায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ১৭ তারিখ রাত থেকে আবার আকাশ মেঘলা হবে। ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আরও দু-একদিন কুয়াশা থাকবে। তারপর কমবে। আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়বে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের কারণে দেশের কোথাও কোথাও বেশি ঠা-া অনুভব হচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান ৫ ডিগ্রির নিচে থাকলে তীব্র শীত অনুভূত হয়। ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কিছু এলাকার দিন ও রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছে। এসব এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচলেও বিঘœ ঘটছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সমিতির ১৫০জন আজীবন সদস্যের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান। সমিতির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ গোলাম শওকত, প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, শাহনেওয়াজ ফারুক, ইদ্রিস হোসেন, এসএম রবিউর রহমান, ডা. আব্দুল লতিফ, মো. আসাদুল হক, আজমিরা খানম ঝরা, সাজ্জাদ আলী, শামসুল হক, আব্দুস সালেক, এখলাছ উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান।
চুয়াডাঙ্গা সদরের আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা গ্রামে আকরামের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান সমাজ সেবক লে.করনেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম রতন, আবু জাফর মন্টু, জাকির হোসেন, মিলু, রবি ঠাকুর, মাহিদুল ইসলাম বড় মিয়া, বাধন ও আপেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে জীবননগরবাসী। গতকাল শনিবারও হিমেল হাওয়া বয়ে গেছে। সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাঁদরে প্রচ- ঢাকা পড়ে এ অঞ্চল। ঠা-ার কারণে মানুষ ঘরে ছেড়ে দেরি করে বের হয়। গত কয় দিনের তীব্র শীতের কারণে মানুষ ও পশু-পাখির জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। শিশু ও বয়স্ক মানুষ শীত জনিত রোগের প্রকোপে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্রদের মাঝে একদফা শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সরকারি বরাদ্দের আরও কম্বল আসবে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে। তীব্র শীতের কারণে দিন মজুর ও খেটে মানুষ কাজে যেতে কষ্ট পাচ্ছে। ভোরে ও রাতে সড়কের ধারে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ খড়-কুটো জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। শীতজনিত রোগ কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ^াসকষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সকল রোগ নিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে ধানের বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। বীজতলা রক্ষা করতে কৃষকরা ভোর হতে মাঠে অবস্থান করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, শীতের শুরুতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সরকারি বরাদ্দের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের সরকারের দ্বিতীয় বরাদ্দের শীতবস্ত্র আসার কথা রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত এ শীতবস্ত্র হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে জানান এ সরকারি কর্মকর্তা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More