উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন হঠাৎ হার্ডলাইনে সরকার

দুদলে শীর্ষ নেতাদের হুমকি-পাল্টা হুমকিতে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ

স্টাফ রিপোর্টার: চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে চলছিলো নানামুখী আলোচনা। নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকবেন আর কারা থাকতে পারবেন না তা নিয়ে শুরু হয়েছিলো বিতর্ক। পর্দার আড়ালেও বিষয়টি নিয়ে চলছে নানামুখী তৎপরতা। বিশেষ করে কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘন ঘন দেখা-সাক্ষাৎ করে চলছেন ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের নেতারা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাল্টা কর্মসূচিতে সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিরোধী দলের সংঘর্ষ ক্রমে বেড়ে চলছে। আবার বিরোধীদের সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছে। একই সঙ্গে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের হুমকি-পাল্টা হুমকিতে আরও বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকার হঠাৎ হার্ডলাইন অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ বিরোধী সমমনা দলগুলো। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে আরও কঠোর এবং সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও পদযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছিলো তারা। হঠাৎ বিএনপির তৃণমূলের একজন নেতার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মাঠ পর্যায়ের ওই বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন এমন কথা জানিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চূর্ণবিচূর্ণ ও কবরে পাঠানোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে আওয়ামী লীগ। ‘এখন আর শান্তি সমাবেশ নয়, প্রতিরোধ সমাবেশ চলবে’ এমন ঘোষণার পাশাপাশি দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে নতুন করে মাঠে নেমেছেন সরকার সমর্থকরা।

সর্বশেষ বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে খুলনা, ফেনী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটেছে। বিএনপির সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খুলনায় গত শুক্রবার সংঘর্ষকালে পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী। ফেনীতে গত বৃহস্পতিবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে সরকারদলীয় নেতাকর্মীর হামলায় বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি উঠেছে। সিলেটেও বিএনপির রাজপথের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন, রাজপথের প্রধান দুই প্রতিপক্ষের এমন মারমুখী অবস্থান রাজনৈতিক সহিংস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজপথ দখলের প্রচেষ্টা মানুষকে রীতিমতো শঙ্কিত করে তুলেছে। এ অবস্থায় পারস্পরিক সৌহার্দ্যবোধ সৃষ্টি করা না গেলে আগামী দিনের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে এমনটাও মনে করা হচ্ছে। চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও তার মিত্রদের যুগপৎ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটেছে গত বছরের ডিসেম্বরে। ২৭ দফা ও ১০ দফার ধারাবাহিকতায় ‘সরকার পতনের’ এক দফার আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। একই সময় থেকে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য প্রতিরোধের ঘোষণার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ‘শান্তি সমাবেশ’ ও সতর্ক প্রহরার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন ক্ষমতাসীনরা। আর পাল্টাপাল্টি এমন কর্মসূচি শুরু থেকেই রাজপথে রক্তক্ষয়ী সংঘাত-সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছে। মাঝখানে রোজার মাস ও ঈদুল ফিতরে পরিস্থিতির কিছুটা উত্তরণ ঘটলেও ঈদ শেষে আবারও রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছে।

অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা কেউ কেউ করতে পারেন। গুজব ও উস্কানিমূলক কোনো বিষয় ছড়িয়ে যাতে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারেন, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়। এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠানের আড়ালে কেউ দুরভিসন্ধিমূলক কোনো পরিস্থিতি তৈরি করছে কিনা এসব চিহ্নিত করতে সাদা পোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যেই গত শুক্রবার রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপির জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দেয়া ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফা নয়; এবার এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে’ এমন বক্তব্য আওয়ামী লীগকে চরম ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার রাজধানীতে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের শান্তি সমাবেশে বলেছেন, এক দফা আন্দোলনের নামে বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার এ হুমকির ভিডিও আমার কাছে রয়েছে। এবার আওয়ামী লীগেরও এক দফা বিএনপির সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী রাজনীতিকে কবরে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, আমরা আর শান্তি সমাবেশ করব না। আজ থেকে প্রতিরোধ সমাবেশ চলবে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের দুর্গ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেব। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন ঘোষণার দিনই দলীয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন দলটি। গতকাল সোমবার সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের উদ্যোগে সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে আগামী দিনে বিএনপিকে প্রতিহত করতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসংবলিত এমন চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হলেও এটিকে হেলা করে দেখার কোনো সুযোগই নেই। কেনোনা এর আগেও বিএনপির পক্ষ থেকে ‘আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর’ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিলো। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বারবারই শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে আসছে তারা। ফলে সর্বশেষ বিএনপির তৃণমূল নেতার দেয়া ওই বক্তব্যকে মাঠের বক্তব্য কিংবা বিচ্ছিন্ন বক্তব্য মনে করার কোনো কারণই নেই। বরং এটিকে ‘শেখ হাসিনাকে হত্যা’র বিএনপির ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নীলনকশা বলেই মনে করা যায়। তারা আরও বলছেন, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির নামে চলমান সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মোকাবিলায় শান্তি সমাবেশ ও রাজপথে সতর্ক পাহারার কর্মসূচি পালন করে আসছিল আওয়ামী লীগ। সেখানে বিএনপির অপরাজনীতি প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন তারা। তবে সেই অর্থে বিএনপিকে প্রতিরোধের সর্বাত্মক কোনো কর্মসূচি এত দিন দেয়া হয়নি। কিন্তু এখন যখন দলের শীর্ষ নেত্রী এবং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকেই হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে, তখন আর বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। এবার বিএনপিকে চূড়ান্তভাবে মোকাবিলা ও প্রতিহত করা হবে। সে লক্ষ্যেই আগামী দিনে রাজপথে আরও কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপির ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পর্যন্ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তবে এই হুমকিতে আওয়ামী লীগ নেতারা ভীত হবে কিংবা চুপচাপ বসে থাকবে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। বরং বিএনপি নামের অপশক্তিকে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সারাদেশের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবেই এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অপরাজনীতিকে কঠোরভাবেই দমন করবে। বিএনপি দলটির নেতাদের দাবি, তাদের চলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সংঘাতময় করতে ক্ষমতাসীনরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে তারা উস্কানি দিয়ে চলছে। এর ধারাবাহিকতায় সারাদেশে নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা গায়েবি মামলা, কর্মসূচি পালনে বাধা, হামলা ও নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকি দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটছে। বিএনপি নেতারা জানান, রাজপথের কঠোর কর্মসূচি না থাকলেও বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না তারা। বাড়িঘরে পুলিশি তল্লাশি, প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হামলা-মামলার ঘটনা ঘটছে, অজ্ঞাতপরিচয় আসামির মামলা কিংবা নতুন কোনো মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এসব মামলায় নেতাকর্মীর অবর্তমানে পরিবারের সদস্যদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের আবার স্বমূর্তি ধারণ করেছেন। কিছুদিন কথা বললেন একটু ভদ্রলোকের মতো। এখন আবার বলতে শুরু করেছেন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, প্রতিরোধ করা হবে। নেতাদের রাতের বেলা তুলে নিয়ে, বাড়িতে বাড়িতে হামলা করে, অত্যাচার করে, নির্যাতন করার বাইরে আইনও তৈরি করেছে। তারা একটা ভয়ের রাজত্ব-সংস্কৃতি তৈরি করে নিজেদের অপকর্ম জায়েজ করার চেষ্টা করে।

বিএনপি দাবি করছে, গত এক মাসে সারাদেশে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। সেসব মামলায় প্রায় ৯ হাজার জনকে আসামি এবং কয়েক হাজারকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে। নতুন মামলা ছাড়াও বিগত দিনের পুরোনো মামলায় আটক হতে হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীকে। অন্যদিকে উচ্চ আদালত থেকে জামিন শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হলে কারাগারে পাঠানোর সংখ্যাও বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। ঢাকা মহানগর বিএনপিতে নতুন আতঙ্ক গোয়েন্দা পুলিশ। সব মামলায় জামিন থাকলেও সাদা পোশাকে আটকের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের পুরোনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

জানা গেছে, গত রোববার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থাকা সব মামলায় জামিনে থাকলেও তাকে আটক করা হয়। গতকাল সোমবার পল্টন থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে এক দিনের রিমান্ডে আনা হয়। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মতিকে গতকাল একইভাবে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আবুল হোসেনকে বাসায় না পেয়ে তার দুই ছেলে আবদুর রহমান রনি ও আহাদুল ইসলাম বাদল, যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয় তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া রামপুরা থানা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সোবহান পাটোয়ারী ও ইয়াসিন আলী রনিকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ আটক করেছে। ১৭ মে রাতে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় পুলিশ ইউনিয়ন বিএনপির রেজাউল করিম বুলবুল, গোলাম কিবরিয়া, মামুনুর রশীদ, বেলালকে গ্রেফতার করে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, তাদের কারও বিরুদ্ধেই কোনো মামলা ছিলো না। পুরোনো মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এসব মামলা ও গ্রেফতারের বাইরে খুলনা, পটুয়াখালী, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়া হয়েছে; হামলা করা হয়েছে। নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল নেত্রকোনায় দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার নার্ভাস হয়ে পড়েছে। এ জন্য শেষ রক্ষা হিসেবে তারা দেশে একটা অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় মামলার আসামি ছিলেন এমন বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীর ওপর নজর বাড়ানো হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে কেউ নাশকতা ও নতুন কোনো ষড়যন্ত্র করছেন কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখছেন গোয়েন্দারা। অনেককে সাইবার মনিটরিংয়ের আওতায় নেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়াতে পারেন এমন বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। অস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম কেউ সংগ্রহ করছেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজ নেয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে সজাগ থাকছে। পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মনজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের মামলা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা এক বা একাধিক মামলার আসামি। এর বাইরে কোথাও কাউকে হয়রানি বা অযথা আটকের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা নেই।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More