জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় পিতাকে নির্যাতনের অভিযোগে পুত্রকে উত্তম-মধ্যম

জীবননগর ব্যুরো: দফায় দফায় পিতাকে নির্যাতন করতেন ছেলে আশাদুল হক (৪৫)। ছেলেও নির্যাতন থেকে বাঁচতে পিতা আফছার আলী আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে সালিস ডাকেন। সালিসে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার ছেলে আশাদুলকে সতর্ক করাসহ সালিসে উত্তম-মধ্যম দেয়া হয়েছে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে আশাদুল জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এখন নেয়া হচ্ছে মামলার প্রস্তুতি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, আন্দুলবাড়িয়া গোডাউনপাড়ার আফছার আলী তার ছেলে আশাদুল হকের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। পিতার অভিযোগ ছেলে তাকে কারণে-অকারণে মারপিট করে থাকে। এতে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পুত্রের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচেেত তিনি ইউনিয়ন পরিষদের দ্বরাস্থ হন। গতকাল দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে সালিস বৈঠক বসে। বৈঠকে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ছেলেকে সতর্ক করা হয় এবং পিতাকে আর নির্যাতন করবে না এই মর্মে একটি মুচলেকা নেয়া হয়। পরে আবার তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে আশাদুকে মারপিট করা হয়। ছেলে আশাদুলের অভিযোগ এতে তিনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনি থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার জানান, ছেলে আশাদুল তার পিতাকে প্রায়ই মারধোর করতো বলে একটি অভিযোগ দায়ের করা করেন পিতা আফছার আলী। গতকাল এ নিয়ে সালিস বসে। সালিসে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আশাদুলকে একটু উত্তম-মধ্যম দেয়া হয়েছে। পিতাকে নির্যাতন মেনে নেয়া যায় না। যে চড়-থাপ্প্ড় দেয়া হয়েছে তাতে তার অসুস্থ হয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। তারপরও সে যদি সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাকে চিকিৎসা দেয়া হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আশাদুলকে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, পিতার ওপর পুত্রের নির্যাতনকে পুজি করে ইন্ধন দেয়া কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি বাদ দেয়া উচিত।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More