নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ : দর্শনায় রেড জোন এলাকায় লকডাউন কড়াকড়ি

দর্শনা অফিস: দর্শনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতনমহল। জেলা প্রশাসক কর্তৃক দর্শনায় দুটি ওয়ার্ড রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। শুরু থেকে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন কার্যক্রম হওয়ায় চরম উদ্বিগ্নে ছিলো দর্শনাবাসী। অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। কঠোর হস্তে গ্রহণ করেছে আইনি পদক্ষেপ। ফলে গতকাল শনিবার দিনভর রেড জোন এলাকায় পরিপূর্ণভাবে লকডাউন মেনে চলতে হয়েছে দুটি ওয়ার্ডের মানুষকে। সেই সাথে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেককেই। জেলা প্রশাসক কর্তৃক ঘোষিত রেড জোন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দর্শনা পৌরসভার ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডকে। অতি ঝুকিপূর্ণ মনে করে থানাপাড়া ও রিফুজি কলোনীপাড়া লকডাউন করা হয়। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে দুটি ওয়ার্ডের ৭টি পয়েন্টে পুলিশি চৌকির ব্যবস্থা করা হলেও তা ছিলো নামে মাত্র। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশের জোড়ালো ভূমিকা দেখা যায়। তবে দর্শনা-মুজিবনগর মহাসড়কের দর্শনা রেলগেট রেড জোন এলাকার মধ্যে থাকলেও রয়েছে লকডাউনের বাইরে। পুলিশকে দেখা গেছে রেলের হুইল গেট ফেলে রাখতে। ফলে মুহূর্তের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ যান-বাহনের জটলার সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে মহাসড়কে চলাচলকারীদের। তবুও পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতনমহল। লকডাউন এলাকা মুহূর্তে মুহূর্তে পরিদর্শন করেছেন দর্শনা থানার অফিসার ইনচাজ মাহব্বুর রহমান কাজল। পুরাতন বাজারসহ লকডাউন এলাকাগুলোতে জনসমাগম দেখা যায়নি। তবে পরবর্তী ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে জানা গেছে। এদিকে গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে দর্শনা পৌরসভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বেচ্ছাসেবা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে লকডাউন ঘোষিত ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারি ত্রাণ সামগ্রীসহ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More