আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের দুই মাস পর পুকুরের জার্মনির নিচ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার : বন্ধুর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির নিকটবর্তী একটি পুকুরের শ্যাঁওলার নিচ থেকে শুক্রবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবক আলমগীর হোসেন বিশ্বাস উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের কাতব আলী বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশ বলেছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। নিহত আলমগীরের পরিবারের অভিযোগ তার বন্ধু একই গ্রামের শিপন আলী টাকার জন্য তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ হয় যুবক আলমগীর হোসেন বিশ্বাস (২৭)। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় একটি জিডি করেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আলমগীরের বাড়ির নিকটবর্তী উজ্জ্বল মোল্লার পুকুরে মাছ ধরার জন্য শ্যাঁওলা ও জার্মনি পরিষ্কার করছিল লোকজন। এ সময় জার্মনির নিচে চাপা দিয়ে রাখা আলমগীরের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যুবক আলমগীর বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করেন। নিহত আলমগীর বিশ্বাসের প্রতিবেশীরা জানান, ‘আলমগীর বিশ্বাস গরু পালত এবং মোটাতাজার পর বিক্রি করত। এ কারণে সব সময় তার কাছে নগদ এক আধ লাখ টাকা থাকত। অবিবাহিত আলমগীরকে ১০ অক্টোবর আকস্মিক নিখোঁজ হয়। প্রায় দুই মাস পর শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে জার্মনি দিয়ে চাপা দেয়া অবস্থায় মিলল তার গলিত লাশ।
নিহত আলমগীর হোসেন বিশ্বাসের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে শিপন অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল আলমগীরের। আলমগীর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন একটি মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সেসময় তার কাছ থেকে নগদ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। আমাদের ধারণা আলমগীরের টাকাগুলো হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পিতভাবে খুন করে লাশ পুকুরের জার্মনির নিচে চাপা দিয়ে রাখে শিপন।’ এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আলমগীর বিশ্বাসকে হত্যা করে জার্মনি চাপা দিয়ে রাখে খুনি। আমরা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। ঘাতক যেই হোক শিগগিরই তাকে খুঁজে গ্রেফতার করা হবে।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More