আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘর তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ঘর পাওয়া মানুষের হাসি সব থেকে ভালো লাগে

স্টাফ রিপোর্টার: আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পর যখন মানুষের মুখে হাসি ফোটে তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘর তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়ালিভাবে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের সকল জেলা এবং উপজেলা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সব থেকে ভালো লাগে যখন দেখি মানুষ ঘর পাওয়ার পর মুখে হাসি ফুটেছে। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। ‘সব মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য এই কাজটি আমরা করবো। যাতে এই বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে দেশের ৪৯২টি উপজেলার এসব অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে গতাকল মঙ্গলবার বিনামূল্যে দুইশতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর তুলে দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা। বলেন, যে জাতি বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে সেই জাতি কখনও পিছিয়ে থাকতে পারে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা অস্ত্র তুলে নিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন সেই শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ২ শতক জমির সঙ্গে ঘর পেয়েছেন দেশের ভূমি ও গৃহহীন প্রায় এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯ পরিবার। দেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রকল্প নেয়া হয়। এর আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে জানান সচিব। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই শতক জমিতে ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘরের সাথে রয়েছে রান্নাঘর, টয়লেট ও বারান্দা। ঘরবাড়ি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপকারভোগীরা। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ বিশ্বের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা।
চুয়াডাঙ্গায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ৩২ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করেছেন। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলা হতে ৩য় পর্যায়ে ৩১৭টি ঘরের মধ্যে ১৫১টি পরিবারের নিকট স্বপ্নের নীড় হস্তান্তর করা হয়। অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দরিদ্র জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অতি মূল্যবান এ উপহার প্রদান করা হয়। ৩য় পর্যায়ে ৩১৭টি ঘরের মধ্যে ১৫১টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৪৯টি, আলমডাঙ্গায় ৪৩টি, দামুড়হুদায় ২৩টি ও জীবননগরে ৩৬টি। চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সদর উপজেলার ৪৯ টি ঘরের দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজি আলী আজগর টগর। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাব সানা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক জামিল সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল-আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, ইউপি চেয়ারম্যান আলি হোসেন জোয়ার্দ্দার, আল মাহামুদ রতন প্রমুখ। প্রধান অতিথি আলী আজগর টগর এমপি সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ ও বেগমপুর ইউনিয়নের রেশমা খাতুনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সিএ ইসমাইল হোসেন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জীবননগরে ২৪ ভূমিহীন পরিবার পেলো মাথা গোজার ঠাঁই। গতকাল মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারা দেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করার পর এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঘরের চাবি ও জমির দলিল প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ অমল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ, হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউর ইসলাম বিশ^াস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী তাওহীদ আহম্মদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. জাকির উদ্দিন মোড়ল, সমবায় কর্মকর্তা নুর আলম, জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু। ২৪ জন ভূমিহীনের মধ্যে আনোয়ারা খাতুন ও আমির হোসেনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেয়া হয়। বাকি ২২ জনের হাতে চাবি ও দলিল তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেল। প্রকাশ, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জীবননগর উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৮ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পরিবার প্রতি ২ শতক খাস জমি ও নির্মিত ঘর প্রদান করা হয়েছে। এ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ৮৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হবে। এর মধ্যে ২৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়। যা গতকাল হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৩১টি ঘরের নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজ ঈদের পর শুরু করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমে জমির দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তরের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর প্রদানের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন পরবর্তীতে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার ৪০ পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় ৩য় পর্যায়ে সদর উপজেলায় প্রাপ্ত ঘর ৪০টি। এর মধ্যে কুতুবপুর ইউপিতে ১৩টি, আমদহ ইউপির বামনপাড়ায় ২৭টি। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঘরের কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রিপন, মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহানউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামান, সেলিম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপরের গাংনীতে ২৮ পরিবার পেলেন জমি ও ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মাথাগোজার ঠাঁই পেলেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি ও ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হয়। ঘরবাড়ি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন উপকারভোগীরা। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ বিশ্বের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে গাংনী উপজেলায় প্রাপ্ত ৩৯টি। এর মধ্যে মটমুড়া ইউপিতে ৬টি, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপিতে ৯টি ও ধানখোলা ইউপিতে ৪টি। গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী ইউএনও মৌসুমি খানম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে ঘরের মালিকানা হস্তান্তরের পাশাপাশি ইফতার দেয়া হয়। পিআইও অফিসসূত্রে জানা গেছে, কার্য সম্পাদন সাপেক্ষে ২৮টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে মুজিবনগর উপজেলায় প্রাপ্ত ১১টি। এর মধ্যে মহাজনপুর ইউনিয়নে ৫টি ও বাগোয়ান ইউনিয়নে ৬টি। মুজিবনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিংকন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম তোতা, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মাহবুব আলম রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার আব্দুর রব।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ৩’শ ৬৬টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তায়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন সদর উপজেলা প্রশাসন। এতে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীনসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পর ঝিনাইদহে উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও কাজপত্র তুলে দেয়া হয়। এ জেলায় জমিসহ গৃহ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে, ভিক্ষুক, বেদে সম্প্রদায়ের লোক, প্রতিবন্ধী, ভ্যানচালক, বিধবার, স্বামী পরিত্যাক্তা, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণসহ অন্যান্য ভূমিহীনরা।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুর উপজেলায় ৫৪ ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রদান। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই উপহার দেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ সকল ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সকাল ১১টায় ভার্চুয়ালি জমির দলিল ও ঘরের চাবি প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ-৩ সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ, মহেশপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা খাতুন হেনা প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেরুন নেছা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সাত্তার, মহেশপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ এনামুল হক দুলু, মহেশপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আসছে ঈদে জমিসহ আধা-পাকা নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা কোটচাঁদপুর উপজেলার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলো। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃতীয় ধাপে নির্মিত এসব ঘরগুলো উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রথম পর্যায়ে ১৪টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের দলিল হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভূমিহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদিয়া আক্তার পিংকি, সাবেক কমান্ডর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম খাঁন বাবুল প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More